শেয়ারে বিনিয়োগের শাহি-পরামর্শ আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন! তোপ মমতার

৪০০ আসনের বেশি পাওয়ার দাবি থেকে সরে এসে এবার দেশবাসীকে শেয়ারে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এটা আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন। শনিবার আরামবাগের গোঘাট ও বিষ্ণুপুরের জোড়া সভা থেকে তোপ দাগলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অমিত শাহের শেয়ারে টাকা ইনভেস্ট করা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, নির্বাচন চলাকালীন এ-কথা তিনি বলতে পারেন না। এটা পরিষ্কার আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। শেয়ারে টাকা ঢালবেন কি ঢালবেন না, এটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যাপার।  এরপরই বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো বলেন, এবার কিন্তু মোদিবাবুরা জিতছেন না। ক’দিন আগে শেয়ারে ধস নামল। তারপর অমিত শাহ বলছেন, শেয়ারে ইনভেস্ট করুন। এবার যদি ওরা জিতবে, তবে কেন অমিত শাহ বলবেন, শেয়ারে টাকা জমাও। মমতার কথায়, ইলেকশন চলছে, তুমি শেয়ারে টাকা ইনভেস্টের কথা বলছ কেন? কেন বলছ, শেয়ারে টাকা জমাও? পরে লাভ পাবেন। আসলে শেয়ার সব ধসে গিয়েছিল। এখন নিজেদের টাকা দিয়ে শেয়ার ঠিক করছে। ওই শেয়ারে যারা টাকা জমাবে, তাদের সব ধসে যাবে। কেউ জমাবেন না।

ব্যাখ্যা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লোকে টাকা তুলে নিচ্ছে শেয়ার বাজার থেকে, সারা বিশ্ব টাকা তুলে নিচ্ছে। চার দফা ইলেকশন হয়ে গিয়েছে, তাতে হারছে। ৫৪৩-এ ২০০-ও পাবে কি না সন্দেহ। বলেছিল না ইসবার ৪০০ পার। আমরা বলেছিলাম, ইসবার পগার পার? সিটটা কোথা থেকে পাবে? কর্নাটকে পাবে? ঘেঁচু। কেরালায় পাবে? কাঁচকলা। তামিলনাড়ুতে নো চান্স। উত্তর-পূর্ব ও হরিয়ানায় ঢুকতেই দেয়নি। দিল্লি পাবে? নো। রাজস্থান পাবে? অনেক কম। মধ্যপ্রদেশে যা পেয়েছিল, এবার অনেক কম। উত্তরপ্রদেশ আধা-আধি। পাঞ্জাব পাবে না। বিহার, ওড়িশাও পাবে না, বাংলাও পাবে না। তাহলে আসবে কোথা থেকে? অঙ্কটা ক্লিয়ার।

তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্ট করে বলেন, বাংলায় কোনও জোট নেই। এখানে শুধু বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমের মহাঘোঁট আছে। দিল্লিতে আমরা ইন্ডিয়ার সঙ্গে আছি। এবার ইন্ডিয়ার সরকার, আমরাই গড়ব। কিন্তু এখানে একটা ভোটও সিপিএম-কংগ্রেসকে দেবেন না। কেন্দ্রে ইন্ডিয়া সরকার গড়তে এখানে আমরা একাই একশো।

মমতার কথায়, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। দেশ স্বাধীন করেছিল বাংলা। এবারও দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। মোদিকে সরাতে হবে। মনে রাখবেন, এই নির্বাচনে যদি ওরা জেতে আর সংবিধান থাকবে না। ভোট হবে না। আপনাদের অধিকার থাকবে না। তাই বুঝে-শুনে নিজের ভোট দেবেন।






Previous articleরাজস্থানের বিরুদ্ধে নামার বিহুর ছন্দে শ্রেয়স-রিঙ্কুরা
Next articleরাজভবনে ‘জোর করে’ আটকে রাখায় অভিযুক্ত ৩ কর্মীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় তলব