তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের বিরোধী নন, কিন্তু ধর্মের চাদর গায়ে দিয়ে যাঁরা রাজনীতি করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে। সোমবার, ওন্দার সভা থেকে স্পষ্ট করলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো স্পষ্ট করেন, নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ভুয়ো অভিযোগের জবাব দিতেই এসেছিলেন।এদিন মমতা তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, “আজ আমি জবাব দিতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এসে আমাকে কী বলেছেন? আমি কী বলেছিলাম, জয়রামবাটি সারদা মায়ের জন্মস্থান। আমি অনেক বার এসেছি। আপনি কত বার এসেছেন?“ ওন্দার সভামঞ্চে মমতা থেকে বললেন, “আজ আমার এখানে সভা ছিল না। আমি জবাব দেব বলে এসেছি।“

শনিবার সভা থেকে কী বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো?
বলেন, “সব সাধু তো সমান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? না। এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেকদিন ধরে – কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবা সংঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার একটা শ্রদ্ধার তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে আছে। কিন্তু যে লোকটা বলে যে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু মনে করি না। তার কারণ তিনি ডিরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছেন।“

সেই প্রসঙ্গেই এদিন তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, “আমি কী বলেছি? আমি কেন একটা ইনস্টিটিউশনের বিরুদ্ধে হব? আমি রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে নয়। আমি কেবল দু’একজনের কথা বলেছি। তার মধ্যে এক জন হল ওই কার্তিক মহারাজ। আমি ওঁর কথা বলেছি। কারণ আমি খবর পেয়েছি উনি তৃণমূলের এজেন্টদের বসতে দেন না। এলাকায় ধর্মের নামে বিজেপি করে বেড়ান। উনি ছানার ব্যবসায়ীদের উস্কাচ্ছেন। সব খবর আসে আমার কাছে।“ এর পরেই তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল সুপ্রিমো হলেন, “উনি রাজনীতি করতেই পারেন, আমার তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু আমি বলব বুকে পদ্ম ফুলটা লাগিয়ে রাজনীতি করুন। এ ভাবে আড়ালে থেকে নয়।“

মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, “রামকৃষ্ণ মিশনর বিরুদ্ধে কেন হব? এই তো সে দিনও এক মহারাজ অসুস্থ হয়েছিলেন। আমি গিয়েছি। ওঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। বিবেকানন্দের বাড়ি আমি রক্ষা করেছি। সারদা মায়ের বাড়ি আমি রক্ষা করেছি। ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি আমি বাঁচিয়েছি। কিন্তু সবাই এক রকম নয়। আমি সেটাই বলেছি। আমি সেই কয়েক জনের কথাই বলেছি।“
