একটা নয়, দুটো বারে গিয়ে মদ্যপান করেছিল ১৭ বছরের পোরসে চালক। তারপরেও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট বলছে তার শরীরে অ্যালকোহল ছিল না। ফলে আদালতে জামিন পেতে কোনই অসুবিধা হল না ২০০ কিমি গতিতে দামী গাড়ি চালিয়ে দুজনকে খুন করা নাবালকের। তবে যিনি নাবালকের হাতে গাড়ি তুলে দিয়েছিলেন, এবং মদ্যপানের অনুমতি দিয়েছিলেন সেই প্রোমোটার বিশাল অগরওয়ালকে গ্রেফতারে কোনও বাধাই ছিল না। তাও ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল পুনে পুলিশের শহরের বহুল পরিচিত ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে। অবশেষে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুনে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তবে এখনও কতটা বিচার পাবে মৃত দুই টেকি, তা নিয়ে সংশয়ে মৃতদের পরিবার।

সোমবার বিশাল আগরওয়ালকে গ্রেফতারির নির্দেশ জারি হয়। নোটিশ জারি হতেই পালানোর ছক কষে বিশাল। ঔরঙ্গাবাদের একটি হোটেলে গা ঢাকা দেয় সে। আবার একই এলাকায় তাঁর নামে আরও একটি হোটেলে ঘর বুকিং ছিল। তবে তার গাড়ির চালক ও এক সঙ্গীকে জেরা করে মঙ্গলবার সকালে হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশালকে। মৃত দুই যুবক, যুবতীর পরিবার, সমাজকর্মী ও বিরোধী রাজনীতিকদের আওয়াজ উঠতেই শেষমেশ তৎপর পুনে পুলিশ। তবে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি সিসিটিভি ফুটেজে ঘাতক নাবালককে একটি বারে মদ্যপান করতে দেখা গেলেও কীভাবে তার শরীরে অ্যালকোহলের অস্তিত্ব পাওয়া গেল না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

মৃত অনীশ অবোধিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ঘাতক নাবালককে ‘মানব বোমা’ বলে দাবি করা হয়েছে, যে জনবহুল রাস্তায় প্রায় ২০০ কিমি বেগে গাড়ি চালিয়েছিল। অন্যদিকে মৃতা অশ্বিনী কোস্তার বাবা সুরেশ কোস্তা কার্যত বাকরুদ্ধ মেয়েকে হারিয়ে। পুনেতে পড়াশোনার জন্য গিয়ে সেখানেই চাকরি পেয়ে থেকে গিয়েছিল মেয়ে। তারই মধ্যে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় সদ্য ২৪-এ পা দেওয়া মেয়ের মৃত্যু তিনি দাবি করেছেন যেন আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ঘটনা না ঘটায়। অন্যদিকে শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠীর মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত পুনের পুলিশ কমিশনারকে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, “অভিযুক্তকে কে সাহায্য করছে? কে পুলিশ কমিশনার? তাঁকে সরিয়ে ফেলতে হবে, নাহলে পুনের মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে।”
