ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের (Government of west bengal)কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বুধবার রাতে বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শান্ত নন্দীগ্রাম অশান্ত হয়ে ওঠে। একের পর এক দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। শনিবার ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচনের আগে অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (EC)। কিন্তু এসবের মাঝে হঠাৎ করেই ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে উঠলেন বোস। দিল্লি থেকে ফেরার পরই যেন বেড়ে গিয়েছে রাজ্যপালের তৎপরতা।

গত বুধবার গভীর রাতে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার মনসাবাজার এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন এলাকার বিজেপি নেতা সঞ্জয় আড়ির মা রথিবালা আড়ি। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দোকান থেকে শুরু করে একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়, রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন আনন্দ বোস। শ্লীলতাহানির অভিযোগে একটু দমে গেছিলেন কিছুদিনের জন্য। আবার জেগে উঠেছেন বাংলার রাজ্যপাল। শুরু হয়েছে বিজেপির তোষামোদ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে সেটা জানতে চেয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। তবে পাল্টা নবান্ন জানিয়েছে যেহেতু নির্বাচন চলছে তাই এখন আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। যদিও রাজ্যের জবাবে খুশি নন বোস।
