বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারউল আজিম আনারের খুনের রহস্য ভেদ করতে আরও কিছুটা এগোলো তদন্তকারী সংস্থা। নিউটাউনে আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল দেহাংশ। প্রায় সাড়ে তিন কেজি ওজনের হলুদ মাখানো টুকরো করা মাংস উদ্ধার হয়। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তদন্তকারী অফিসাররা নিশ্চিত করছেন না ওই উদ্ধার হওয়া মাংস আদৌ বাংলাদেশের সাংসদের কিনা।

অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা আভাস পেয়েছেন যে সাংসদের দেহের টুকরো সেপটিক ট্যাঙ্কে থাকতে পারে। সেই মতোই মঙ্গলবার সোয়ারেজ লাইন এবং সেপটিক ট্যাংক খুলে দেখা হয়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় এই মাংস। অভিযুক্ত কসাই জিহাদ জানিয়েছিল, মাথার টুকরো অন্য দুই অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও ফয়জল অন্যান্য টুকরোর সঙ্গে আলাদা ট্রলিতে পুরেছিল। ওই টুকরোগুলি দু’জন বনগাঁ সীমান্তের কাছে যশোর রোডের উপর ফেলে দেয়। যদিও সেই অংশও পাওয়া যায়নি।
এদিকে এরমধ্যেই তদন্তে গতি আনতে পলাতক ৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করল সিআইডি। মূল অভিযুক্ত আখরাউজ্জামান ছাড়াও সিয়াম, মুস্তাফিজুর রহমান ও ফয়জলের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। যেকোনও বন্দর বা বিমান বন্দরে এদের দেখলেই তৎক্ষণাৎ আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খুনের আগে বেশ কিছুদিন নিউ টাউনের একটি হোটেলে ছিলেন খুনিরা। সেখান থেকে ওই শপিং মলে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস কিনেছিল তারা। মঙ্গলবার সেই শপিংমলে যান বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন রশিদ বলেন, সঠিক পথেই তদন্ত এগোচ্ছে। বাকি দেহাংশ উদ্ধারের বিষয়ে তাঁরা আশাবাদী বলেও জানান। গোয়েন্দা প্রধানের দাবি, তাঁদের কাছে ইতিমধ্যে যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তাতে এই অপরাধীদের সাজা দিতে বেগ পেতে হবে না।

আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ দলে জায়গা না হওয়ার পর কী কথা হয়েছিলো রোহিতের সঙ্গে? ফাঁস করলেন রিঙ্কু
