লোকসভা নির্বাচনের শেষদফার ভোটের প্রচার চলছে জোরকদমে। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা ছুটে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার মধ্যেই বুধবার পূর্ব ঘোষণা মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বারুইপুরের প্রচার সভা থেকে বেরিয়ে হেলিকপ্টারে তিনি ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি আকাশপথে পরিদর্শন করেন।দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল দিয়ে বয়ে গিয়েছে সাইক্লোন। সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ-সহ একাধিক জায়গায় ঝড়ে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। নষ্ট হয়েছে ক্ষেতের ফসল। ভেঙে পড়েছে মাটির বাড়ি ঘর, গাছপালা। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত পর্যালোচনা এখনও চলছে। তার মধ্যে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার হল হকিকত খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগে সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় এলাকার দুর্গতদের পাশে রাজ্য সরকার রয়েছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্য করা হবে। ঝড়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারও আর্থিক সাহায্য পাবেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী বিধিনিষেধ উঠলেই ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় যাবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণের কাজ যথাযথভাবে যাতে হয় সেই বিষয়েও প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে দুর্গতদের পাশে রয়েছে- বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।


সাইক্লোন রেমাল পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকা ছুঁয়ে গিয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে। তবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য প্রশাসন প্রশংসনীয় ভূমিকা নিয়েছে। ফলে বড় অঘটন এড়ানো গিয়েছে। প্রশাসনের রেমাল যোদ্ধাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
