রথযাত্রার আগে শোকের ছায়া পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath temple Puri)। চন্দন যাত্রায় (Chandan Yatra) বাজি বিস্ফোরণে মৃত ৩ আহত অন্তত ৩০। এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার রাতেই পুরীতে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে এত মানুষের জমায়েতের মধ্যে কী করে এমন ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীরা আঙুল তুলছেন নবীন পট্টনায়কের সরকারের দিকে। বাজি বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে আগুনে ঝলসে যান কমপক্ষে ১৫ জন পুণ্যার্থী, পরে আরও ১৫ জন দগ্ধ হন। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার সকালে তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, ‘‘পুরীতে ভগবান জগন্নাথের চন্দন যাত্রার সময় বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা জেনে হতভম্ব। বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। তাঁদের দ্রুত এবং সুস্থতার জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন। ওড়িশা সরকারের পাশে রয়েছি।’’

Shocked to know about the devastating firecracker incident at Puri during Lord Jagannath’s Chandan Yatra, leading to injury of several persons. Pray to the Lord for their quick and complete recovery. Solidarity to Odisha Government.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 30, 2024
শ্রীক্ষেত্র পুরীতে ধুমধাম করে রথযাত্রা (Rathayatra) পালিত হয়। এই উৎসবের আগে চন্দন যাত্রা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে একটা উন্মাদনা কাজ করে। এই রীতি বহুদিনের অথচ কেন মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তার দিকে জোর দেওয়া হয়নি তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অনেকেই এর মধ্যে অশনি সংকেত খুঁজে পেয়েছেন। নরেন্দ্র পুস্করিনীতে বাজি ফাটানোর সময় আগুনের ফুলকি থেকেই দুর্ঘটনা বলে অনুমান। কেউ কেউ প্রাণে বাঁচতে ঝাঁপ দেন সরোবরের জলে। প্রায় ৩০ জন ঝলসে যান বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একাধিক শিশুও রয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ভার গ্রহণ করেছে ওড়িশা সরকার (Odisha Government)। শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও।
