উৎসবের মেজাজে ভোট, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন হয়ে গিয়েছে: দাবি তৃণমূলের

একাধিক ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে যদি কেউ ধ্যান করেন, তাহলে সেটা কতটা ধ্যান সেটা নিয়ে ভাবনার ব্যাপার আছে

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফার শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও ডাঃ শশী পাঁজাও স্পষ্ট জানালেন, বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছেন বাংলার মানুষ। বহিরাগত ও বাংলা- বিরোধীদের বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। ব্রাত্য বসু বলেন, জমিদারদের দলের আজকে বিদায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আজকে যে হারে ভোট পড়েছে, তাতে তাদের বিদায় অবশ্যম্ভাবী। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি যেভাবে প্ররোচনা দিয়েছে এবং ওদের যে পরিকল্পনা ছিল, একটা পর একটা স্টিং অপারেশন সামনে আসার পর সব ভেস্তে গিয়েছে। মানুষ দেখেছে সন্দেশখালির মা-বোনেদের সম্মান নিয়ে কীভাবে খেলতে চেয়েছে বিজেপি। সেই কারণে আজকে বিক্ষিপ্তভাবে দফায় দফায় তারা ঝামেলা করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেটাও কাজে আসেনি। গণমাধ্যমকে কেন্দ্রীয় বাহিনী যে নিগ্রহ করেছে তার আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি। কারণ, বাংলায় গণমাধ্যম তার নিজের কাজ করতে বাধা পায়না। অথচ বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণমাধ্যমকে দাবিয়ে রাখা হয় তা আমরা বারবার দেখেছি।তার কটাক্ষ, ধ্যান নিভৃতে হওয়া উচিত। একাধিক ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে যদি কেউ ধ্যান করেন, তাহলে সেটা কতটা ধ্যান সেটা নিয়ে ভাবনার ব্যাপার আছে।

মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, এই নির্বাচনে আমরা অনেক কিছু দেখলাম। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সাংঘাতিক কিছু করে দেবে বলেছিল, নির্বাচন কমিশন সঙ্গে থাকবে বলেছিল। কিন্তু যেভাবে বাংলার মানুষ তৃণমূলের উপর ভরসা রেখেছেন, তাতে আমরা অভিভূত। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারে বলে দিয়েছেন,যেভাবে গত পাঁচ বছর ধরে বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করা হয়েছে তার জবাব মিলবে আগামী ৪ জুন। উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে।

শশী পাঁজা এদিন সাফ জানান, ওরাই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। ওরাই নির্বাচন কমিশনের উপর ভরসা রেখেছিল। আবার দিনের শেষে ওরাই তাদের সমালোচনা করছে। ৪ তারিখ দেখা যাবে বাংলার মানুষ কোন জবাব দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরও তারা সমালোচনা করছেন। কারণ, শেষ পর্বের ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা যেভাবে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, যেভাবে প্রচারে সময় দিয়েছেন, যেভাবে আজকে ভোটে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তার জন্য আমরা সব কর্মী সমর্থকদের কাছে কৃতজ্ঞ। ৪ জুন ভোটের ফলাফল বেরোলেই দেখতে পাবেন বাংলার মানুষ কীভাবে জবাব দিয়েছে। বাংলা নিয়ে সমস্ত মিথ্যার জবাব বাংলার মানুষ দিয়ে দিয়েছে। ইন্ডিয়া জোট যে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসছে সেটাও পরিষ্কার। রীতিমতো উৎসবের মেজাজে বাংলায় ভোট হয়েছে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসছে বাংলায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ওরা যেভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল তা পারেনি তাই সমালোচনা করছে। প্রধানমন্ত্রীর ধ্যান প্রসঙ্গে বলেন, এর মাধ্যমে কী প্রমাণ করতে চাইছেন তিনি? সেটা ওনাকেই জিজ্ঞেস করা উচিত। সন্দেশখালিতে যেভাবে ধর্ষণের নামে বিভাজন তৈরি করে দিয়েছে বিজেপি। সেই মহিলারাও এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস নেবেন। সন্দেশখালির ঘটনায় প্ররোচনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতৃত্ব।





 

 

 

 

 

 

 

Previous articleভোট মিটতেই উধাও ‘স্টান্টবাজি’! ধ্যানভঙ্গ হতেই মোদিকে তোপ বিরোধীদের
Next articleবিরোধীদের অশান্তি বাধানোর চেষ্টা, সপ্তম দফার নির্বাচনে বাহিনীকে দুষল বিজেপি!