ভোটে ভরাডুবি! এবার দিলীপকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা চায় বিজেপির একাংশ

বিজেপির ভরাডুবি। বাংলায় ৩০ আসন দূর, তার অর্ধেক আসনও পায়নি গেরুয়া শিবির। পরাজিত হয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সব মিলিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপির একাংশ। তাদের অভিযোগ, দলবদলু শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) অঙ্গুলিহেলনেই কেন্দ্র বদল করা হয়েছে দিলীপের। আর তাতেই বিপর্যয়।গতবার লোকসভা নির্বাচনের সময় বঙ্গ বিজেপি (BJP) দায়িত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেবার ১৮ আসনে জিতেছিল গেরুয়া শিবির। শাসকদল তৃণমূলের (TMC) প্রায় ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছিল বিজেপি। এবার উল্টো ফল! এক্সিট পোলকে ভুল প্রমাণ করে ২৯ আসনে জিতল তৃণমূল। বিজেপির ঝুলিতে মাত্র  ১২ আসন। হাতছাড়া গতবারের জেতা আসনও। ২০১৯-এর দিলীপের (Dilip Ghosh) জেতা আসন থেকে এবার তাঁকে সরিয়ে দেয় বঙ্গ বিজেপির হোমড়চোমড়রা। সেই আসন দেওয়া হয় অগ্নিমিত্র পালকে। যদিও তিনি জিততে পারেননি। আর বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে ভোট লড়েছিলেন দিলীপ। ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। আর এরপরেই তীব্র ক্ষোভ বিজেপির অন্দরে। একাংশের মতে, গদ্দারদের কলকাঠি নাড়ানোতেই দিলীপের এই হাল। আবার কেউ বলছেন, বিজেপির বিপর্যয়ের জন্যেই দায়ী শুভেন্দু।

বিরোধী দলনেতার কুকথা, আকাশ ছোঁয়া ঔদ্ধত্যে বিজেপির প্রতিই বিরক্ত বাংলার মানুষ। তারই প্রতিফলন পড়েছে ইভিএমে। বিধানসভার অধিবেশনে অধিকাংশ দিনই বাইরে থেকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শুভেন্দু। এলাকার কথা পৌঁছননি বিধানসভায়, দলের বার্তাও দেননি সেখানে- অভিযোগ বিজেপি একাংশের। সেই কারণেই এবার দিলীপকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা চাইছে তারা। মেদিনীপুর থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের জুন মালিয়া। তিনি ছিলেন বিধায়ক। সুতরাং সেই আসনে উপনির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে সেই কেন্দ্রে দিলীপকে প্রার্থী করুক গেরুয়া শিবির। জয়ী হলে তাঁকেই করা হোক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা-চাইছে পদ্মষশিবিরের একাংশ।







Previous articleউন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করার নির্দেশ মুখ্যসচিবের
Next articleঅভিষেকের কাছে পরাজিত বিজেপি, নামমাত্র ভোটে জিতে প্রশংসায় সৌমিত্র!