NEET-বেনিয়ম নিয়ে সিবিআই তদন্ত দাবি IMA-র, ধর্মঘটের ইঙ্গিত

কীভাবে ডাক্তারির মতো বিষয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বরই পায় কোনও পরীক্ষার্থী। এবং সেই সংখ্যাটাও ১ বা ২ জন নয়, ৬৭ জন

গোটা দেশ যখন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মাতোয়ারা, সেই দিনই চুপিসারে বেরিয়েছে বর্তমান শিক্ষাবর্ষের NEET পরীক্ষার ফলাফল। তবে যে কারচুপি এই বর্ষের পরীক্ষায় হয়েছে, তা নজর এড়ায়নি দেশের রাজনৈতিক দলগুলি তথা দেশের ডাক্তারদের সংগঠনগুলিরও। এবারের নীট (NEET) পরীক্ষায় যেভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে তা যে এককথায় অসম্ভব, এই দাবি তুলেছে সকলে। পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা এনটিএ নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করলেও সত্যিটা লুকিয়ে রাখা যায়নি ডাক্তারদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থেকে। এবার এই বেনিয়মে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এনটিএ-কে চিঠি দিল আইএমএ (IMA)-র জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন।

কংগ্রেস তথা বিজেপি বিরোধী দলগুলি নীট পরীক্ষার দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার দুর্নীতি নিয়ে সবথেকে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে জুনিয়র ডাক্তাররাই। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জুনিয়র ডক্টর্স নেটওয়ার্কের (IMAJDN) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে পরীক্ষার্থীরা ৭১৮, ৭১৯ নম্বর পেয়েছে তা এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে একেবারেই অসম্ভব। বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার দিনই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, অথচ তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না নিয়েই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, যে সব কেন্দ্রে সিসিটিভি সমস্যার জন্য পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার হয়েছে, তা নিয়ে আগে থেকে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি এনটিএ, যা একেবারেই বেআইনি।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করলেও শনিবারই এনটিএ (National Testing Agency)-র ডিজি সুবোধ কুমার সিংয়ের দাবি, ৬টি কেন্দ্রে সিসিটিভি ফুটেজে মুছে গিয়েছে। সেই সব কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছে, একথাও স্বীকার করে নিয়েছেন সংস্থার ডিজি। সেক্ষেত্রে পরীক্ষাকেন্দ্রে সমস্যার কথা স্বীকার করে নিলেও একরকম গা জোয়ারি করে কর্তৃপক্ষ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করছে, এমনটা উঠে আসছে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ থেকে।

সেই সঙ্গে ৬ কেন্দ্রের ১৬০০ পরীক্ষার্থীদের জন্য কী ব্যবস্থা, তাও আগে থেকে প্রকাশ করেনি এনটিএ (NTA) কর্তৃপক্ষ। যেখানে আবার সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ। তবে এনটিএ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি কীভাবে ডাক্তারির মতো বিষয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বরই পায় কোনও পরীক্ষার্থী। এবং সেই সংখ্যাটাও ১ বা ২ জন নয়, ৬৭ জন এই নম্বর পেয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলের মতো ব্যস্ত দিনে নীটের ফলপ্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, সিবিআই তদন্তের পথে না গেলে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের পথে যাওয়ার পরিকল্পনা নেবেন।

Previous article‘অগণতান্ত্রিক’ NDA সরকার টিকবে না, পরিবর্তনের অপেক্ষায় থাকছে INDIA: জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো
Next articleবাম আমলের পাহাড় প্রমাণ ঋণের বোঝা! দেনা মেটাতে নয়া ভাবনা রাজ্যের