কুয়েত থেকে বায়ুসেনার বিমানে ফেরানো হল ভারতীয় শ্রমিকদের মৃতদেহ! বিমানবন্দরে শোকের ছায়া 

কুয়েতে (Kuwait) বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত ভারতীয়দের (Indians) মরদেহ নিয়ে দেশে ফিরল বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান। শুক্রবার ভোরেই ভারতীয়দের দেহ নিয়ে বিমান কুয়েত থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর বেলা ১১টা নাগাদ কেরলের এর্নাকুলাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে বায়ুসেনার বিশেষ বিমান‌। এদিন বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন-সহ কেরল সরকারের উচ্চপদস্থ মন্ত্রী-আমলারা।

শুক্রবার সকাল থেকে মৃতদের পরিবারবর্গ অপেক্ষা করছিলেন বিমান বন্দরে। বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে মরদেহ ফিরতেই শোকের পরিবেশ তৈরি হয় বিমানবন্দর চত্বরে। শুক্রবার সকালে কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়, “বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে হত ৪৫ ভারতীয়দের দেহ কোচি বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং, যিনি কুয়েত প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তিনিও এই বিমানে রয়েছেন।” উল্লেখ্য শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং দ্রুত ভারতীয়দের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে কুয়েত যান। বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রীও এদিন দেশে ফেরেন। যেহেতু মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই কেরলের বাসিন্দা,তাই বিমানটি সরাসরি কেরলেই অবতরণ করে। শুধু রাজ্য প্রশাসনের মন্ত্রীরাই নয় একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন কেরলের বিমানবন্দরে।

বুধবার ভোরে কুয়েতের রাজধানী শহরের দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি বহুতল আবাসনে আগুন লাগে। জানা যায়, ওই আবাসনে মূলত থাকেন শ্রমিকেরা, যাঁদের অধিকাংশই ভারতীয়। প্রথমে জানা গিয়েছিল, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৪৯। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় প্রায় ৫০ জনকে। দুর্ঘটনায় যে ভারতীয়দের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। কুয়েতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে বাসভবনটিতে আগুন লেগেছে, সেখানে কেরলের অনেক মানুষ বাস করতেন। কুয়েত সরকারের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোট ৪৫ জন ভারতীয় মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৩ জনই হলেন কেরলের বাসিন্দা। তবে এদের মধ্যে সাত জন থাকতেন তামিলনাডুতে।। উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনজন করে বাসিন্দারা মারা গিয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওডিশার দুই জনের মৃত্যু হয়। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাবের একজন করে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।