সংসদে মোদির ‘সিলেক্টিভ’ চোপড়া, বিভ্রান্ত করার রাজনীতি: তোপ তৃণমূলের

কুণাল ঘোষ বলেন, "যদি চোপড়ার ঘটনা সংসদে তুলতে পারেন, উন্নাও, হাথরস, প্রয়াগরাজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। তখন মুখ থেকে কথা বেরোয় না

যে নরেন্দ্র মোদির মুখে দেড় বছরে কখনও মণিপুরে নারী নির্যাতন নিয়ে টু শব্দটি শোনা যায়নি। উত্তরপ্রদেশে একের পর এক নারী নির্যাতন, ধর্ষনের পরেও যে মোদি একবারও তা নিয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতির প্রসঙ্গে তোলেননি সংসদে, বুধবার সেই মোদির মুখে বাংলার চোপড়ার দুর্নাম। বিরোধীদের ‘সিলেক্টিভ’ রাজনীতি বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। বাস্তবে কে সিলেক্টিভ বা বিভ্রান্তিকর রাজনীতি সংসদে দাঁড়িয়ে করছে, তা পাল্টা স্পষ্ট করে দেয় তৃণমূল। চোপড়ার ঘটনায় যেভাবে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে সংসদে দাঁড়িয়ে সেই প্রসঙ্গে টেনে এনে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বলে দাবি তৃণমূলের।

রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণে মোদির দাবি, বিরোধীরা বেছে বেছে কয়েকটি ইস্য়ুকে তুলে ধরেছেন। এরপরেই তিনিও বেছে বেছে বাংলার সন্দেশখালি ও চোপড়ার নাম উল্লেখ করেন। বিরোধীরা যে উন্নাও, হাফরস বা মনিপুরের নাম তুলে বারবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর জবাব দাবি থেকে পদক্ষেপ দাবি করে এসেছেন, সেই জায়গাগুলির নাম কখনও মোদির মুখে শোনা যায়নি। সংসদে তা নিয়ে আলোচনা চাইলেও বিজেপি তা বরদাস্ত করেনি। অন্যদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে প্রতি পদক্ষেপে সহায়তা করেছে রাজ্যের পুলিশ। আর নারী নির্যাতনের যে সাজানো ছবি বিজেপি তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল সেই ফাঁকা কলসি ভিডিও-র মধ্যে দিয়ে সহজেই ফেটে গিয়েছে।

চোপড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকার যেভাবে কড়া হাতে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করেছে তার পরেও সংসদে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই তিনি এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ জানান, “প্রধানমন্ত্রী চোপড়া নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। চোপড়া একটা সামাজিক অপরাধ। সেখানে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে, ওসি শোকজ হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া চলছে। তার সঙ্গে তদন্ত চলছে। নির্যাতিতাকে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। যা যা করার ব্যবস্থা নিয়েছে।”

সেই সঙ্গে যে নরেন্দ্র মোদির মুখে সংসদে চোপড়ার নাম, তার মুখে এতদিন অন্য ঘটনায় নীরবতা মানুষকে বিভ্রান্ত করা বলে দাবি করে কুণাল ঘোষ বলেন, “যদি চোপড়ার ঘটনা সংসদে তুলতে পারেন, উন্নাও, হাথরস, প্রয়াগরাজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। তখন মুখ থেকে কথা বেরোয় না। চোপড়া বা কোথাও যদি কোনও ঘটনা ঘটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নিন্দা করে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন। আর হাথরসে ১২৬ জনের পদপিষ্টের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের এফআইআরে নাম পর্যন্ত নেই। সেই নরেন্দ্র মোদি বড় বড় কথা বলতে আসেন। নির্লজ্জ রাজনীতি করছেন, সংসদে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।”