বয়স মাত্র ২৭। বাবার অনুপ্রেরণায় ভারতীয় সেনায় যোগ। বংশে দ্বিতীয় সেনা আধিকারিক। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সেই প্রদীপ নিভে যাবে এমনটাও ভাবেনি শহিদ ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপার পরিবার। কাশ্মীরের ডোডায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত ব্রিজেশের শোকে স্তব্ধ দার্জিলিংয়ের লেবং। প্রাণবন্ত ব্রিজেশের জন্য শোক ভারতীয় সেনার সহকর্মীদের মধ্যেও।

দার্জিলিংয়ের লেবংয়ের গিংগ এলাকার বাসিন্দা ব্রিজেশ। বাবা কর্ণেল ভুবনেশ কে থাপার অনুপ্রেরণায় মাত্র পাঁচ বছর আগে সেনায় যোগ দিয়ে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে মোতায়েন হন। পরে গাড়োওয়াল রাইফেলসের অন্তর্ভুক্ত হন ব্রিজেশ। তবে একজন দক্ষ অফিসার হওয়ার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর বিনোদনেও সক্রিয় ভূমিকা নিতেন ব্রিজেশ। একদিকে যেমন ক্যাপ্টেন হিসাবে সামনে দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন, তেমনই গিটার হাতেও মন টানতেও ব্রিজেশের জুড়ি ছিল না।
ডোডায় সশস্ত্র জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে নিজের ব্যাটেলিয়ানকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্রিজেশ। পাহাড়ের এক মাথায় আটকে ফেলেন জঙ্গিদের। তবে শেষরক্ষা হয়নি। বাড়ির ছেলের এভাবে মৃত্যুতে চোখের জল বাঁধ মানছে না কাকা যোগেশ থাপার। প্রতিদিন কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার জওয়ানদের মৃত্যু হচ্ছে। কবে থামবে এই মৃত্যু মিছিল, প্রশ্ন তাঁর।

তবে অন্য ধাতুতে গড়া শহিদ ব্রিজেশের বাবা কর্ণেল ভুবনেশ্বর। তাঁর কষ্ঠ হলেও অক্ষেপ নেই বলেই দাবি। যেভাবে ছোটবেলা থেকে নিজেকে দেশের জন্য তৈরি করেছিল ব্রিজেশ তাতে দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে মৃত্যু তাঁর ছেলের জন্যও গর্বের, দাবি ভুবনেশের। বুধবার তাঁর দেহ বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে দার্জিলিং পৌঁছাবে।
