হিন্দু (Hindu) বলেও মেলেনি রেহাই। শুধুমাত্র ভারতীয়দেরই (Indians) সেখানে প্রবেশাধিকার মিলবে। এমন আজব যুক্তি দেখিয়ে এক বিদেশিনীকে মন্দিরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কেরলের (Kerala) এক মন্দিরের (Temple ) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ, জাত ও ধর্মের দোহাই দিয়ে ওই বিদেশিনীকে (Forgeiners) মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে ওই বিদেশিনীর সমস্ত অভিযোগ মান্যতা পাচ্ছে। চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামনে আসতেই সরব কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা কার্তি চিদম্বরম কেরলের পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ।

Why should anyone be barred from a place worship they want to visit? https://t.co/Y6LrCCJUwV
— Karti P Chidambaram (@KartiPC) July 16, 2024
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, শাড়ি পরেই হবু বরের সঙ্গে মন্দিরে গিয়েছিলেন বিদেশিনী। মনে প্রবল আশা ছিল বিগ্রহ দর্শন করবেন। তবে পুজো দেওয়া তো দূর, মন্দিরের ভিতরেই প্রবেশ করতে পারেননি তিনি। মন্দিরের দরজার সামনেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বলেন, শুধুমাত্র ভারতীয়দেরই এই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। সেই সময় তাঁর বাগদত্তা জানান, তিনি একজন ভারতীয়। বিদেশিনীর সঙ্গে তাঁর বাগদানও সম্পন্ন হয়েছে। খুব শীঘ্রই ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। কিন্তু এসব জানার পরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

I feel bad for her. She was super excited after wearing saari and visiting temple with her husband but she wasn’t allowed at temple. She was even saying she is Hindu.
Straight big NO. She is not first or last, it is the rule in most big temples. pic.twitter.com/ywU4XrMDBS
— Harpreet (@harpreet4567) July 14, 2024
এরপর মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি না পেয়ে তাঁরা মন্দির কর্তৃপক্ষের অফিসে যান কথা বলতে গেলে তাঁদের জানানো হয়, মন্দির চত্বরে শুধুমাত্র হিন্দুরাই প্রবেশ করতে পারবেন। ভিডিয়োটি এক্স হ্যান্ডেলে আপলোড করেছেন হরপ্রীত সিং নামে এক ব্যক্তি। মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এই সময় ভিডিয়োটি নজরে আসে কংগ্রেস নেতা কার্তি চিদম্বরমেরও। ভিডিয়োটি শেয়ার করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন কোনও ধর্মীয় স্থানে একজনকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে? অন্যদিকে ভিডিয়োতে বিদেশিনীকে বারবার বলতে শোনা যায়, তিনি একজন হিন্দু। তা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ তাঁকে সার্টিফিকেট দেখাতে বলে। তাঁর কথায়, মন্দির কর্তৃপক্ষ বর্ণ বিদ্বেষী। ওই মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্যই তিনি শাড়ি কিনেছিলেন ও তা পরেছিলেন। এমনকী ভ্রমণের একদিন বাড়ান ওই মন্দির দর্শনের জন্যই। ভিডিয়োতে বিদেশিনী প্রশ্ন, ‘ভগবানের সামনে কে বসে রয়েছেন যিনি বলেছেন আমরা প্রবেশ করতে পারব না?’ তাঁর প্রশ্ন, এভাবে ঘৃণার জন্ম দেওয়া হচ্ছে না?’ তবে মন্দির কর্তৃপক্ষের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন নেটিজেনরা।