জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারির আর্জি! বিজেপি সাংসদ কঙ্গনার বিরুদ্ধে আদালতে জাভেদ 

বিজেপিতে (BJP) যোগদানের পর খারাপ সময় যেন পিছু ছাড়ছে না মাণ্ডির নবনির্বাচিত সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতের (Kangana Ranawat)। এবার ২০০৬ সালে দায়ের করা এক মানহানির মামলায় বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ‌্য পরোয়ানা জারি (Non Bailable Warrant) করার আবেদন দায়ের করলেন বিশিষ্ট গীতিকার জাভেদ আখতার (Javed Akhtar)।
কী অভিযোগ কঙ্গনার বিরুদ্ধে?
২০১৬ সালের একটি ঘটনা নিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর মুখ খুলেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। অভিনেত্রীর অভিযোগ, রোশন পরিবারের হয়ে ওকালতি করেছিলেন জাভেদ আখতার। পাশাপাশি নিজের বাড়িতে ডেকে তিনি যাতে হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে রোশনদের বিরুদ্ধে কোনওরকম ঝামেলা না করেন তার জন্য শাসানি দেন। এরপর ঘটনার কথা প্রকাশ্যেই এক সংবাদমাধ্যমকে বলায় তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন জাভেদ আখতার। তবে সেই মামলায় বারবার আদালতের তরফে কঙ্গনাকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি যাননি বলে অভিযোগ। সেকারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারির আবেদন জানালেন জাভেদ।
জাভেদ আখতারের অভিযোগ, মাণ্ডির সাংসদ হওয়ার পর থেকে একাধিকবার আদালতে শুনানির দিনে অনুপস্থিত থেকেছেন কঙ্গনা। এমনকী, গত শনিবারও তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনও আসেননি কঙ্গনা। এরপরই গীতিকারের আইনজীবী আদালতকে জানান, জানান- এই মামলায় আদালতে উপস্থিত থেকে পাকাপাকিভাবে নিষ্কৃতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন কঙ্গনা। তা খারিজ হয়। তা সত্ত্বেও আদালতের নির্দেশকে পাত্তা না দিয়ে কঙ্গনা একাধিকবার শুনানির তারিখে আদালতে আসেননি। তারপরও নিষ্কৃতি চেয়ে আবেদন করে গিয়েছেন, যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযো‌গ‌্য পরোয়ানা জারি করা হয়।
আইনজীবীর আরও অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দিয়েও আদালতে উপস্থিত হননি অভিনেত্রী। এবার জামিন-অযোগ‌্য পরোয়ানা জারি না করা ছাড়া আর উপায় নেই। তবে আদালত এখনও সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি বলে খবর। উল্টে কঙ্গনাকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন‌্য নতুন নির্দেশ জারি করেছে। ৯ সেপ্টেম্বর, পরবর্তী শুনানির দিন কঙ্গনা রানাওয়াত আদালতে উপস্থিত থাকবেন বলে খবর। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।

Previous articleভারতীয় ক্রিকেটে কতটা গুরুত্ব বিরাট-রোহিতের? জানিয়ে দিলেন টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচ গৌতম গম্ভীর
Next articleদ্রব্যমূল্য থেকে বেকারত্ব বাড়ছে, অথচ নির্মলার উত্তর ‘অর্থনীতি স্থিতিশীল’!