রেশন কার্ডের যে কোনও সমস্যা মেটান এবার অনলাইনেই,চালু রাজ্যের নয়া অ্যাপ

এর ফলে গ্রাহকদের হয়রানি মিটবে, এমনই মত খাদ্য দফতরের

এত দিন পর্যন্ত নিয়ম ছিল যে, রেশন কার্ডের মাধ্যমে এলাকার নির্দিষ্ট রেশন কেন্দ্র থেকেই একমাত্র রেশন তোলা সম্ভব। কিন্তু রেশন কার্ড যদি ডিজিটাল হয়, তাহলে তার মাধ্যমে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে রেশন তোলা সম্ভব। ইদানীং রাজ্য সরকার রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডকে লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক করেছে। এখন থেকে যে কোনও ধরণের পরিষেবা পেতে আর অফিস ছুটতে হবে না। রেশন কার্ডের সমস্যা মেটানো যাবে এবার অনলাইনেই। দেশে প্রথম এই অনলাইন ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করল রাজ্য সরকার। নাম বদল, দোকান বদল, কার্ড ছেড়ে দেওয়া, পরিবার অন্তর্ভুক্তি, যোজনা বদল সবই সম্ভব অনলাইনেই। এর ফলে গ্রাহকদের হয়রানি মিটবে, এমনই মত খাদ্য দফতরের।

এমনিতেই রেশন কার্ডই ছিল এক সময়ে ভারতবাসীর বৈধ প্রমাণপত্র। আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক করা হলে খুব সহজেই ধরা পড়বে অবৈধ পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে আছেন কারা। আবার পাশাপাশি ডিজিটাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি দেওয়া রেশনের কাজটাও সহজ হবে। পাশাপাশি রেশনিং ব্যবস্থা আরও সুসংগঠিত ও সুনিয়ন্ত্রিত করা সম্ভব। আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের পাশাপাশি ডিজিটাল রেশন কার্ডের প্রয়োজনীয়তা ইদানীং বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, আপনার বাড়িতে বসেই আবেদন করতে পারবেন রেশন কার্ডের বা তার যে কোনও সংশোধনীর। আর তা করতে কম্পিউটারেরও প্রয়োজন নেই। স্মার্টফোন থেকেই খুব সহজে রেশন কার্ডের আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি রাজ্য সরকারই এই কারণে একটি আলাদা পোর্টাল তৈরী করেছে। আপনি যে রাজ্যের বাসিন্দা সেই রাজ্যের পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।বলাই বাহুল্য, রেশন কার্ড পেতে আপনাকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। আর বয়স হতে হবে ১৮ বছর ও তার উর্ধ্বে। তার থেকে কম বয়সীরা মা-বাবার রেশনকার্ডের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত থাকে।

 

Previous articleশেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গেল মুখ্য়মন্ত্রী দিল্লি সফর, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন কি!
Next articleRJD-র মহিলা বিধায়ককে ‘অসম্মানজনক’ উক্তি! নীতীশের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের