Tuesday, November 11, 2025

পরাজয়-গো.ষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নজর ঘোরাতে বঙ্গভঙ্গের উ.স্কানি, কুণালের নিশানায় বিজেপি

Date:

Share post:

বিজেপি পরাজয় এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নজর ঘোরাতে এই বঙ্গভঙ্গের উস্কানি দিয়ে ফের বাজার গরম করছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, সুকান্ত মজুমদার নরেন্দ্র মোদির কাছে গিয়েছিলেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে। কার জন্য হার সেই দায় চাপানো নিয়ে নালিশ জানাতেই দিল্লি যাত্রা বলে আমরা জানতে পেরেছি।

কুণাল বলেন, সুকান্ত মজুমদার হারের পুরো দায়ভারটা শুভেন্দুর ওপর চাপিয়ে দিয়ে এসেছেন। আর সঙ্গে একটা চিঠি দিয়েছেন। আর বাইরে সেই চিঠিটা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আসলে উত্তরবঙ্গকে তারা ভাগ করার চেষ্টা করছেন, উস্কানি দিচ্ছেন। অবাস্তব সব ফর্মুলা বলছেন, যেগুলোর সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলার মানুষ পাহাড় থেকে সাগর এক- ঐক্যবদ্ধ- অটুট বাংলা চান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উত্তরের জেলাগুলিতেও ঢালাও উন্নয়ন চলছে। কুণাল বলেন, পাহাড় শান্ত, পর্যটন শিল্প চাঙ্গা, পাহাড়ে পর্যটকে ভরে আছে। এই পরিস্থিতিতে সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেহেতু তার সভাপতিত্বে দল হেরেছে, সাংসদ কমে গিয়েছে , সে দিক থেকে নজর ঘোরাতে সব দায়ভার অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার হন বা অনন্ত মহারাজ, তারা বঙ্গভঙ্গের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। স্পষ্ট জানাচ্ছি, নিজেদের দোষ ঢাকতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপা দিতে, নজর ঘোরাতে এই বঙ্গভঙ্গের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।

বাংলার মানুষ উত্তরবঙ্গের মানুষ আরও বেশি করে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবে। বিজেপি দিশাহীন। কুণাল মনে করিয়ে দেন, সিপিএমের জামানায় পাহাড়ে কেউ উঠতে পারত না। পাহাড়ের জঘন্য অবস্থা ছিল, চা বাগানের অবস্থা ছিল শোচনীয়। পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পাহাড় আবার হাসছে। অর্থনীতি চাঙ্গা, পর্যটন শিল্প রমরম করে চলছে, শুটিং হচ্ছে। সবমিলিয়ে পাহাড় এখন ফের নিজের জায়গায় নিজের ছন্দে ফিরেছে।
চা বাগানের শ্রমিকদের উন্নয়ন, পরি কাঠামোর উন্নয়ন, স্কুল-কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি, সব এই সরকারের আমলে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নজর ঘোরাতে বঙ্গভঙ্গের উস্কানি দিচ্ছে। এগুলো বিজেপির দিশাহীন রাজনীতির পরিণাম। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য, দৃষ্টি ঘোরাতে বিজেপির একেক জন একেক রকম কথা বলছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস উত্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আরও উন্নয়ন করার কাজ করছে। বিজেপি যত এই সুরে কথা বলবে, আরও বেশি করে হারবে বলে সাফ জানান কুণাল। তিনি বলেন, বিজেপির নেতারা যে বাংলা থেকে রাজনীতি করেন, সেই বাংলাকে যখন কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দেয় না, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হচ্ছে। তখন কিন্তু তাদের মুখে কোনও কথা নেই। বাংলায় যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, বন্যা হয়, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা তো বিজেপি নেতাদের মুখে নেই। বিজেপি নেতারা সরব হন শুধুমাত্র নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে।

 


 

spot_img

Related articles

ধর্মেন্দ্রর অবস্থার অবনতি, রাতেই হাসপাতালে ছুটলেন শাহরুখ-সলমন

বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) শারীরিক অবস্থার অবনতি। রাতেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন শাহরুখ-সলমানরা (Shahrukh Khan - Salman...

সলমনই হামলার মাস্টারমাইন্ড? দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার ব্যবহৃত গাড়ির মালিক

সাদা রঙের একটি হুন্ডাই আই–২০ গাড়ি ধীরে ধীরে এসে ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে থামতেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে বিস্ফোরণ। সোমবার...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করেছে লালবাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে নাকা চেকিং

দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে দেশের রাজধানীর পাশাপাশি হাই অ্যালার্ট (High...

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর! ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গ্রেফতার গাড়ির মালিক

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১। বিষ্ফোরণ হওয়া গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের...