কয়লা মামলায় প্রথমবার সংস্থা ও এমডি-কে সুপ্রিম ক্লিনচিট, সিবিআই তদন্তকে ভর্ৎসনা

মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, সিবিআই কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের রিপোর্টকে লঞ্চিং প্যাড হিসাবে ব্যবহার করেছে

কয়লা সংস্থার মামলায় বেনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে সংস্থাকে অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয় বলেই রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। দেশের বিভিন্ন কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে একাধিক মামলা বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন। প্রথমবার সুপ্রিম কোর্ট কোনও মামলাকে অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয় বলেই পর্যবেক্ষণে জানালো। সিবিআই তদন্ত সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে পিছনের দিকে চলেছে বলে পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতির হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চ।

মহারাষ্ট্রের তিনটি কয়লা ব্লক থেকে কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব কেন্দ্র থেকে কর্ণাটক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডকে (KPCL) দেওয়া হয়। ২৫ বছর ধরে সেই উত্তোলনে কেপিসিএল সেই দায়িত্ব ইস্টার্ন মিনেরাল অ্যান্ড ট্রেডিং এজেন্সির (EMTA) সঙ্গে ভাগ করে নেয়। এই পদ্ধতিতে অভিযোগ তোলা হয়, এমটা অনৈতিকভাবে কয়লা তোলা ও অবৈধ লাভ উপার্জনের কাজ করে। সেই মোতাবেক ৫৩.৩৭ কোটি টাকা অনৈতিক উপার্জনের অভিযোগ তোলা হয় কেপিসিএল ও এমটার বিরুদ্ধে। তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। বিশেষ সিবিআই আদালতে সিবিআই তদন্ত অনুসারে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয় দুই সংস্থা।

নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় দুই সংস্থা। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, সিবিআই কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (CAG) রিপোর্টকে লঞ্চিং প্যাড হিসাবে ব্যবহার করেছে। ক্যাগ নিজেদের অডিট রিপোর্টের কোনও চূড়ান্ত রিপোর্ট আজকের দিনেও পেশ করতে পারেনি। সেখানে সেই ক্যাগ রিপোর্টের উপরই হাতড়ে মাছ ধরার মতো তদন্ত চালিয়েছে সিবিআই, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। জোর করে একটি চুক্তিকে অপরাধমূলক হিসাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও সিবিআই-এর বিরুদ্ধে রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

এই মামলায় সিবিআই একটি সিভিল চুক্তিকে অপরাধমূলক চুক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য গোটা মামলাকে পিছনের দিকে চালিত করেছে বলে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ। দুটি সংস্থার মধ্যে চুক্তিতে কোনও রকম আইনি বিচ্যুতি হয়েছে কিনা, তা নিয়ে দেওয়ানি অপরাধ এমনকি লিজে কোনও ফাঁককেও বেআইনি বলে ধার্য করা হয়েছে। এবং তার পিছনে কোনও যুক্তি তুলে ধরতে পারেনি সিবিআই, ভর্ৎসনা সর্বোচ্চ আদালতের। আদালত কয়লা সংস্থার বিরুদ্ধে কয়লার বর্জ্য নিয়ন্ত্রণেও কোনও বেআইনি পদক্ষেপ পাইনি বলেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে। ফলে নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট।

Previous articleRG Kar: শহরকে স্তব্ধ করতে প্রতিবাদ CITU-র, রবীন্দ্র সরোবরে মিছিল প্রাতঃভ্রমণকারীদের
Next articleবিচারের দাবিতে আজ আর্টিস্ট ফোরামের জমায়েত, কটাক্ষ ভুলে সামিল দেব-ঋতুপর্ণাও