বাংলাকে অচল করার অপচেষ্টা বরদাস্ত নয়, বনধ মানা হবে না: আলাপন

আগামিকাল সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের কাজে যোগ দিতে হবে। রাজ্যবাসীর প্রতি রাজ্যের বার্তা, দোকান-অফিস থেকে যানবাহন সবকিছু সচল রাখার

ছাত্র সমাজ থেকে বিজেপির নবান্ন অভিযানে পরিবর্তিত হওয়া মিছিল থেকে দিনভর চলেছে তাণ্ডব। ইট বৃষ্টি, ভাঙচুর থেকে পুলিশকে রক্তাক্ত করা বা গাড়ি পোড়ানো বাদ যায়নি কিছুই। নবান্নের উপর হামলার চক্রান্ত ভেস্তে যেতেই নতুন পন্থায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে অর্জুন সিং, তাপস রায়রা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। রাজ্য সরকার কোনওভাবেই এই বনধ মানবে না বলে ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সরকারি কর্মচারি থেকে সাধারণ মানুষকে বনধ সমর্থন না করার বার্তা দেন তিনি।

এদিন আলাপন বলেন, “নির্যাতিতা তরুণীর প্রতি যে মর্মান্তিক অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তার সুবিচার আমরা সকলেই চাই। সমস্ত দায়িত্বভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। এখন সিবিআই এর কাছে ন্যায্য সুবিচার চাওয়ার অধিকার আমাদের সকলেরই আছে।”

অথচ তারপরেও রাজ্যকে অশান্ত করার অপচেষ্টা নিয়ে আলাপন বলেন, “কিন্তু আজ মহানগরীতে নবান্ন অভিযানের নামে বাংলাকে অচল করার যে চেষ্টা হচ্ছে যেটা অসমর্থনীয়। ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা ও পড়াশোনা চলছে। কালকের ধর্মঘট মানা হবে না, সচল থাকবে জনজীবন। সরকারি অফিস থেকে দোকানপাট, সব কিছু খোলা থাকবে। কাল পরিবহণ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক থাকবে।” মঙ্গলবার পুলিশের সহনশীলতার প্রশংসা করে আলাপন বলেন, বাংলার সংস্কৃতি হল সৌজন্য। আজ পুলিশ যথাসাধ্য শান্ত থেকেছে।

বুধবার ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বলা হয়েছে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বনধ। এই প্রসঙ্গে আলাপন বলেন, আজ ও কাল বাংলাকে স্তব্ধ করার প্রয়াসকে সমর্থন করা হবে না। মানা হবে না কোনও বনধ। ধর্মঘট হলে ব্যবসায়ী, কর্মজীবী থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জরুরী পরিষেবা বিপন্ন হয়। পুজোর আগে অসুবিধায় পড়েন অনেকে।

মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য, “রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত জনজীবন স্বাভাবিক রাখা হবে। সব কিছু চালু থাকবে। সরকারি কর্মীদের প্রতি সরকারের নির্দেশ, অবশ্যই সঠিক সময়ে অফিস আসতে হবে। দোকানপাট খোলা থাকবে। সরকার তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করবে। কারও কোনও ক্ষতি হলেও সরকার সেটা দেখবে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। এটাও সরকারি নির্দেশ। সরকারি বাস চলাচল করবে। বেসরকারি বাসও চলবে স্বাভাবিক নিয়মে। বাংলাকে সবক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে সচল থাকতে হবে। বাংলার সংস্কৃতি ও কৃষ্টি হল পারস্পরিক সৌজন্য ও সম্প্রীতির। সেই কৃষ্টির প্রতি সম্মান জানিয়ে পুলিশ আজ সবরকম সহযোগিতা করেছে। ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।”

বাংলা বনধের একটা চক্রান্ত রাজ্যের অর্থনীতির উপর একটা বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে আলাপন বলেন, “ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর তোড়জোড়। এদিন আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায় এই মর্মে জানান, ”শারদোৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ী, কর্মজীবী, বৃত্তিজীবী, বৃহৎ সংখ্যক মানুষের জীবন এতে বিপন্ন হচ্ছে। পুজোর কেনাকাটা চলছে যে সমস্ত দোকান-বাজারে, সেগুলো যেন খোলা রাখা হয়। রাজ্য জানিয়েছে, তার জন্য কোনওরকম ক্ষতি হলে দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার।”

Previous articleখু.নের মা.মলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটার শাকিবের পাশে দলের সতীর্থরা, দিলেন বার্তা
Next articleনির্দেশ বাস্তবায়নে মামলা থেকে অব্যাহতি,সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় স্বস্তি রাজ্যের