দুরন্ত কামব্যাক মোহনবাগানের, সেমিতে বেঙ্গালুরুকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে সবুজ-মেরুন

একেই বলে দুরন্ত কামব্যাক। আর যার সুবাদে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও, শেষমেশ ম্যাচ নির্ধারিত সময় ড্র করে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল জোসে মোলিনার দল। এদিনও তিনকাঠির নিচে ভরসা দেন বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। ফাইনালে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ নর্থইস্ট ইউনাইটেড।

সেমিফাইনালের প্রথম একাদশে ছ’টি বদল করেছিলেন কোচ জোসে মোলিনা। প্রথম থেকে মাঠে ছিলেন জেসন কামিংস ও দিমিত্রি পেত্রাতোসরা। তবে প্রথমার্ধে নিজদের মেলে ধরতে পারেনি সবুজ-মেরুন। খেলা দেখে বোঝার উপায়ই ছিল না দ্বিতীয়ার্ধে যে নিজেদের মেলে ধরবেন তারা। খেলায় ফিরবেন তারা। ম্যাচে ২৭ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। যার ফলে বাগানের রক্ষণ আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। তবে এরই মধ্যে ম্যাচে ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বিএফসিকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন সুনীল ছেত্রী। লিস্টন কোলাসোর ট্যাকেলে পেনাল্টি পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু। যা কাজে লাগাতে এতটুকু ভুল করেননি সুনীল। যদিও পেনাল্টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় তবে মোহনবাগান ফুটবলারদের প্রতিবাদে কান দেননি ম্যাচ রেফারি। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকে সবুজ-মেরুন।

ম্যাচের দ্বিতিয়ার্ধেও দাপট বজায় রাখে বিএফসি। যার ফলে ম্যাচের ৫০ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বিএফসি। এবার বেঙ্গালুরুকে গোল করে এগিয়ে দেন বিনিথ। আর এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় মোহনবাগান। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় মোলিনার দল। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে এতটুকু ভুল করেননি দিমিত্রি। এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় সবুজ-মেরুন। যার ফলে ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বাগানের হয়ে সমতা ফেরান অনিরুদ্ধ থাপা। দূরপাল্লার শটে গোল করেন তিনি। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মোলিনার দল। যার ফলে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল ২-২ থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর টাইব্রেকারে বিএফসিকে ৪-৩ গোলে হারায় মোহনবাগান।

আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে দলে সুযোগ না পাওয়ার পর কী কথা হয়েছিল রোহিতের সঙ্গে রিঙ্কুর ? জানালেন কেকেআর ক্রিকেটার


Previous articleবিস্ফোরক অভিযোগ! করোনা তথ্য গোপন রাখতে মেটাকে চাপ দিয়েছিল বাইডেন সরকার
Next articleআইসিসির নতুন চেয়ারম্যান হলেন জয় শাহ