RG Kar-কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে রাজপথে সুচেতন, পাশে পটা-দুর্নিবার-বাদশা-পিয়া

আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীর বিচারে দাবিতে ‘পথের দাবি’-র ব্যানারে মিছিল কলেজে স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা। রাজপথে সেই মিছিলে পা মেলালেন সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Suchetan Bhattacharya) সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার, বিকেলে কলেজে স্ট্রিট (College Street) ধরে মিছিল যায় ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত। বিচার চেয়ে মিছিলে সুচতনের পাশাপাশি হাঁটেন সংগীতশিল্পী দুর্নিবার, অভিজিৎ বর্মন (পটা), সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী, বাদশা মৈত্র এবং এলজিবিটিকিউ আন্দোলনের কর্মীরা। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সন্তানের পদযাত্রা মনে করিয়ে দেয় ১২ বছর আগে ধনঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadev Bhattacharya) স্ত্রী মীরার মোমবাতি মিছিল। মিছিল থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে আওয়াজ ওঠে, ”সিবিআই-কে চেপে ধর/জাস্টিস ফর আর জি কর।”আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণীর নৃশংস ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে বাংলা। আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে CBI। কিন্তু কলকাতা পুলিশের তদন্তকালীন গ্রেফতারির পরে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে কোনও অগ্রগতিই নজরে পড়ছে না। ফলে বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছে। সুবিচারের দাবিতে প্রতিদিন রাজপথে একাধিক রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ব্যানারে মিছিল হচ্ছে। এদিন ‘পথের দাবি’ নামে সেই মিছিলের আহ্বান জানায় নাগরিক সমাজ। মিছিলের সামনের সারিতেই সুচেতন। মিছিল থেকে সামাজিক, প্রশাসনিক সবক্ষেত্রে ধর্ষণ সংস্কৃতি বন্ধের দাবি তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, ”এই মুহূর্তে সবার একটাই দাবি, সঠিক বিচার। আমরা সবাই সেটাই চাইছি। সঠিক বিচার হোক।”

তবে, সুচেতনের (Suchetan Bhattacharya) এদিনের মিছিলের ছবি মনে করাল ১২ বছর আগে কলকাতার নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযুক্ত ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের ফাঁসির দাবিতে মীরা ভট্টাচার্যের সেই মোমবাতি মিছিল। ২০০৪ সালে ধনঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা কার্যকর হয়। তবে, এখন ফের প্রশ্ন উঠছে আদৌ তিনি দোষী ছিলেন কি না তা নিয়ে।

এদিনের মিছিলে পা মিলিয়ে পটা, দুর্নিবারদের মতে, এই অপরাধের কঠিনতম সাজা না হলে আর মানুষ হিসেবে নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড়াত করাতে পারব না। মিছিল থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে আওয়াজ ওঠে, ”সিবিআই-কে চেপে ধর/জাস্টিস ফর আর জি কর।”






Previous articleজীবিত ফিরতে পারবেন সুনিতা উইলিয়ামসরা? সংশয়ে NASA!
Next articleমোটর ট্রেনিং স্কুলের মালিকানা ও ঠিকানা বদলের ছাড়পত্র রাজ্যের