ধর্ষকদের কোনও ধর্ম-রঙ হয় না: বালুরঘাটের নির্যাতিতাকে দেখে বীরবাহা

বনমন্ত্রী বীরবাহা জানান, "এর কোন ভাষা খুজে পাচ্ছি না। যারা এই ধরনের কাজ করে তাদের না তো কোন ধর্ম হয় না, রঙ হয় না, কিছু হয় না

ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যাধি নির্মূল করতে কঠিন আইনই যে প্রয়োজন, তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলা ধর্ষণ, নারী নিগ্রহের ঘটনা থেকেই প্রমাণিত। রাজ্যের প্রশাসন তথা তৃণমূল নেতৃত্ব যখন নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেই আইন কার্যকর করার জন্য দাবি তোলা থেকে কার্যকর করা পর্যন্ত লড়াই চালাচ্ছে, সেখানে বিরোধীরা শুধুই রাজনীতি করছেন এই সব ঘটনা নিয়ে। বিরোধীদের রাজনীতির জন্য দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে না, শুক্রবার বালুরঘাটের নির্যাতিতা আদিবাসী নাবালিকাকে দেখতে গিয়ে দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সেই সঙ্গে দ্রুত বালুরঘাটের ঘটনার বিচারের দাবি জানান তিনি।

কলকাতা শহর যখন প্রতিদিন উত্তাল করা হচ্ছে আর জি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে, সেখানে লোকচক্ষুর অন্তরালে বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ধর্ষিতা স্কুল পড়ুয়া। শুক্রবার তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল এবং জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি স্নেহলতা হেমরম। পরিবারের এই বিপর্যয়ের পরে বিরোধী বিজেপি নেতারা এই ঘটনা নিয়েও শুধুই রাজনীতি করতে ব্যস্ত যেখানে, সেখানে একদিকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নির্যাতিতাকে বিচার দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রশাসন। অন্যদিকে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দেওয়া হয়।

বনমন্ত্রী বীরবাহা জানান, “এর কোন ভাষা খুজে পাচ্ছি না। যারা এই ধরনের কাজ করে তাদের না তো কোন ধর্ম হয় না, রঙ হয় না, কিছু হয় না। এরা মানুষ নামের কলঙ্ক। আমরা সবাই মিলে চাই যে দোষী সে কঠোর শাস্তি পাক।” সেই সঙ্গে বিজেপির এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, “রাজনীতি করতে গিয়ে সব জায়গায় আমরা দেখছি ডামাডোল হয়ে যাচ্ছে, দোষীরা সাজা পাচ্ছে না।” এই ঘটনায় যাতে দ্রুত বিচার পায় নাবালিকা সেই আশ্বাসও দেন তিনি।

Previous articleদলবদল চম্পাইয়ের, ‘অজুহাত’ দিয়ে বিজেপিতেই যোগ
Next articleধর্ষণ-খুনে শাস্তির দাবিতে কলেজে কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ কর্মসূচি