নিরামিষ পণ্যে ‘মাছের নির্যাস’! রামদেব-পতঞ্জলির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের অভিযোগ 

ফের বড়সড় বিপাকে যোগগুরু বাবা রামদেব (Ramdev)! এবার তাঁর সংস্থা পতঞ্জলির (Patanjali ) বিরুদ্ধে উঠল প্রতারণার অভিযোগ। বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে। রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিরামিষ পণ্য হিসেবে দাবি করা হলেও পতঞ্জলির একটি দাঁতের মাজনে (Toothpaste ) মাছের নির্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের গুরুতর অভিযোগ তুলে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইনজীবী। যোগগুরু রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের মালিক বালকৃষ্ণর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তবে এবার সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠতেই আরও বড় বিপাকে রামদেব। ইতিমধ্যে ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিজ অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে যোগগুরুর বিরুদ্ধে।
ঠিক কী অভিযোগ পতঞ্জলির বিরুদ্ধে? 
পতঞ্জলির প্রোডাক্ট দিব্য দন্ত মঞ্জন নিয়েই যত গণ্ডগোল! সংস্থার দাবি এই পণ্য সম্পূর্ণ নিরামিষ। কিন্তু সম্প্রতি অভিযোগকারী আইনজীবীর দাবি, ওই মাজন মাছের নির্যাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার সপক্ষে একাধিক প্রমান দেখিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করেছেন আইনজীবী। তাঁর দাবি, সমুদ্রফেন নামে এক সামুদ্রিক মাছ ব্যবহার করে ওই মাজন বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এটা রীতিমতো বেআইনি। গ্রাহকদের রীতিমতো নিরামিষ পণ্যের নামে আমিষ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কেন ওই মাজনে ভেজের সবুজ লেভেল লাগানো হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী।
দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়তেই অবিলম্বে এই বিষয়ে জবাব চেয়ে পতঞ্জলিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং ওই মাজন পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রের মোদি সরকার ও ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার জবাব তলব করেছে হাইকোর্ট। তবে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ সামনে আসে। ইতিমধ্যে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই উত্তরাখণ্ড ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ পতঞ্জলির দিব্য ফার্মেসি কোম্পানির ১৪টি পণ্য নিষিদ্ধ করেছে বলে খবর।

Previous articleমাত্র একজন ডাক্তার, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে হৃদরোগী!
Next article‘আমরা এখানে ঘুরতে আসিনি’, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে হুঙ্কার নর্থইস্ট কোচের