জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে হামলার ছক কষার অভিযোগে গ্রেফতার ডিওআইএফআই (DYFI )- এর সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত (Kalatan Dasgupta)। একটি ভাইরাল অডিও ক্লিপকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কের মাঝেই বাম যুবনেতার গ্রেফতারিতে, তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তুলে নিজেদের অন্যায় ধামাচাপা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা সিপিএমের। স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করতে না পেরে, কখনও বলা হচ্ছে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) কী করে অডিও পেলেন, আবার কখনও বলা হচ্ছে কলতানের গ্রেফতারির প্রক্রিয়া ‘অগণতান্ত্রিক’। সোশ্যাল মিডিয়ায় সব অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল। প্রশ্ন তুললেন, রাজ্য সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিরোধীরা কোনও মন্তব্য করলেই তাকে সত্যি বলে ধরে নেওয়া হয় ( যাচাই না করে), অথচ বিরোধীদের বিরুদ্ধে যদি কিছু ফাঁস হয় তাহলেই সেটা চক্রান্ত বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে?

.@AITCofficial র বিরুদ্ধে যা বলবেন, দেখাবেন, সব সত্যি!!! আর বিরোধীদের অডিও বেরোলে সেটা চক্রান্ত??? অডিও তো ওদের শিবির থেকেই বাইরে।
সুজনদারা বলুন, গলা কলতানের কি না?
সরকারকে বিপাকে ফেলতে J. Doctorদের ধরনায় যারা অন্তর্ঘাতমূলক হামলার চক্রান্ত করেছিল, তাদের চক্রান্ত ফাঁস বলে রাগ।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 14, 2024
আর জি করের (RG Kar Medical College and Hospital) মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদে স্বাস্থ্য ভবনের সামনেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই আবহে হঠাৎ করে সামনে আসে একটা ভাইরাল অডিও ক্লিপ। যেখানে শোনা যায় দুই ব্যক্তির কথোপকথন এবং তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে আন্দোলন হামলা করার পরিকল্পনা। তদন্তে নেমে হালতু থেকে সঞ্জীব দাস (Sanjib Das) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি জিরার মুখে স্বীকার করেন যে ওই অডিও বার্তায় একটি কণ্ঠস্বর তাঁর এবং সেখান থেকেই উঠে আসে বাম যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তের নাম। এরপর শনিবার সকালে টালিগঞ্জের কাছ থেকে ডিওয়াইএফআই-এর সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়। নিজেদের পরিকল্পনা সকলের সামনে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং পুলিশের সমালোচনায় আসরে নামে লাল ঝাণ্ডাধারীরা। সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, গোটা বিষয়টি নাকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) আবার আরও একধাপ এগিয়ে সরাসরি তৃণমূল নেতা এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। এরপরই পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুণাল। এদিন সকাল সাড়ে এগারোটার কিছু পরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি জানিয়ে দেন, যে ভাইরাল অডিওর সত্যতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস করার পরই তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

বামনেতার গ্রেফতারিতে সিপিএম, রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লেখেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যা বলবেন, দেখাবেন, সব সত্যি! আর বিরোধীদের অডিও বেরোলে সেটা চক্রান্ত?’ তাঁর দাবি, ‘অডিও তো ওদের শিবির থেকেই বাইরে এসেছে। সুজনদারা বলুন, গলা কলতানের কিনা? সরকারকে বিপাকে ফেলতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নায় অন্তর্ঘাতমূলক হামলার চক্রান্ত। তাঁদের চক্রান্ত ফাঁস বলে রাগ।’ এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। নতুন একটি পোস্টে তিনি সুশান্ত ঘোষের ভিডিও নিয়ে সুজন চক্রবর্তী, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের নীরবতা নিয়েও তোপ দেগেছেন।
