চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে মানবিক মমতা, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের প্রশংসায় সৃজিত-পরমব্রত

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চিকিৎসকদের পাশে যে মানবিক আবেদন নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, নিজের নিরাপত্তার পরোয়া না করে ধর্নামঞ্চে পৌঁছে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছেন তাতে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সদর্থক ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee),পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক বলছেন সমস্যা মেটানোর জন্য যে মানসিক ইচ্ছে রয়েছে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তা দেশের অন্য কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় জানান, যে তিনি ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা পর্যন্ত এত বছরে কোনদিন দেখেননি যে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান হচ্ছে সেই সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকা মানুষটি অনায়াসে বিক্ষোভ আন্দোলনে গিয়ে সমস্যা সমাধানের মানবিক বার্তা দিচ্ছেন।

আর জি কর কাণ্ডের জেরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অমান্য করে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার সব সম্ভাবনা তৈরি হয়েও নিজেদের ‘অনড়’ মানসিকতার জন্য সবটা ভেস্তে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটেনি রাজ্য সরকার (Goverment of West Bengal)। উপরন্ত শনিবার হঠাৎ করেই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মাথায় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান স্বাস্থ্য ভবনের (Swasthya Bhawan) সামনে বিক্ষোভ মঞ্চে। তাঁকে দেখে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। এত অপমান অসভ্যতা সত্ত্বেও একটা প্রতিবাদও করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বরং অত্যন্ত মানবিকতার সঙ্গে ‘দিদি’ হিসেবে ডাক্তার ভাই-বোনেদের আলোচনায় বসার ডাক দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পরিচালক বলেন, ‘এটা তো ঠিক যে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সমস্যা মেটানোর আন্তরিক ইচ্ছে আছে। সেই চেষ্টাটাও তো পুরো দেশের অনেক জায়গায় হয় না। কোনও আলোচনাই হয়না। এই সব ইস্যু নিয়ে আমরা যে বসব, কথা বলব, তার কোনও সুযোগই নেই। কোনও সাংবাদিক সম্মেলনই হয় না।’ ‘টেক্কা’ (Tekka) ছবির প্রচারে যখন এই মন্তব্য করেন পরিচালক তখন তাঁর পাশে ছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। তিনিও সহমত প্রকাশ করেন সৃজিতের সঙ্গে।

টলিপাড়ায় “জাস্টিস ফর আর জি কর” দাবি নিয়ে যে প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রীরা পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee)। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়ার বার্তাকে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ বলে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা-পরিচালক। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার স্মৃতিতে ভারতবর্ষে এর আগে কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পদাধিকারী কোনও নেতা-মন্ত্রী এমন পদক্ষেপ করেছেন বলে মনে পড়ছে না। অন্তত যাঁরা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধেই আন্দোলন করছেন, তাঁদের মধ্যে চলে যাওয়া যায়, এরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলে আমার জ্ঞাতসারে নেই।’ পাশাপাশি অন্য রাজ্যে কীভাবে আন্দোলনকারীদের কণ্ঠ রোধ করে দেবার চেষ্টা হয় সে প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন পরম।

আরও বিপাকে পরিচালক! এবার অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে আরও এক অভিনেত্রী

শনিবার বিক্ষোভরত জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক রূপ যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মনে করছে সেলিব্রেটি থেকে সমাজ মাধ্যমে একাংশ।


Previous articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleঝড়-বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড সুন্দরবন, বৃষ্টি কমলেও দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগ কমবে কি?