ফুঁসছে একের পর এক নদী, বন্যা মোকাবিলায় হিমসিম যোগী প্রশাসন

এ পর্যন্ত ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। ১৫টি এলাকা থেকে কিছু কিছু মানুষকে উদ্ধার করে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে

গঙ্গা-যমুনা থেকে ঘাঘরা – উত্তরপ্রদেশে ফুঁসছে সব নদী। ফলে ফের বন্যা পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশে। একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে গৃহহীন বহু মানুষ। যমুনা, গঙ্গা, ঘাগড়া, কল্পি, শারদা নদীর জলস্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে। প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী এলাকা ভেসে গিয়েছে। একইসঙ্গে মারা গিয়েছে বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭।

সোমবার থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। ১৫টি এলাকা থেকে কিছু কিছু মানুষকে উদ্ধার করে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এদিকে মৌসম ভবনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আজ উত্তরপ্রদেশ জুড়ে দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।

বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর পৌঁছানোর আগেই প্রাণহানি হয়ে যাচ্ছে যোগীরাজ্যে। এবছর গোটা বর্ষাকাল জুড়ে দুর্ভোগ উত্তরপ্রদেশবাসীর। তারপরেও যোগী সরকারের প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে কেরালায় ভূমিধ্বসের আগাম সতর্কতা দাবি করা অমিত শাহকেও নিশানা করেছে বিরোধীরা। উত্তরপ্রদেশে বন্যা পরিস্থিতি এভাবে ভয়ানক চেহারা নেবে, আবহাওয়া দফতর থেকে সতর্কতা কেন দেওয়া সম্ভব হয়নি, উঠেছে প্রশ্ন।

Previous articleদ্রুত কাজে ফিরুন জুনিয়র চিকিৎসকরা: করুণাময়ী থেকে দাবি দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের
Next articleকোনও গাফিলতি করেননি: ধৃত টালা থানার ওসি-র পাশে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা