সংসদে পিছু হটতে হয়েছে মোদি সরকারকে৷ শেষে উপায়ন্তর না পেয়ে বাধ্য হয়েই ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসির কাছে৷ তারপরেও শাসক দলের সমস্যা কমেনি বরং বেড়েছে৷

নয়াদিল্লিতে সংসদীয় সূত্রে দাবি জানানো হয়েছে জেপিসির বৈঠকে বিরোধী শিবিরের সাংসদদের প্রশ্নে ও যুক্তিতে কার্যত জেরবার হয়ে গিয়েছে শাসক শিবির৷ কেন ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রণয়ন করেছে মোদি সরকার ? এই বিলের মাধ্যমে কি ঘুরপথে ওয়াকফ বোর্ডেপ হাতে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি জবরদখল করতে চাইছে মোদি সরকার ? জেপিসির বৈঠকে ওঠা এই প্রশ্ন গুলির কোনও যথাযথ উত্তর দিতে পারেনি সরকারপক্ষ৷ এর পরেই আরও বেশি কোণঠাসা হয়েছে বিজেপি৷ এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই অন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিজেপি৷

বিরোধী শিবিরকে নিশানা করার লক্ষ্যে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছেন, দেশের বাইরে সক্রিয় কিছু ভারত বিরোধী শক্তি বিরোধী দলগুলিকে উত্সাহ দিচ্ছে লাগাতার৷ তাদের উত্সাহ পেয়েই বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় নেমেছে মোদি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷ শুধু মৌখিক অভিযোগ করে থেমে থাকা নয়, সূত্রের দাবি বিরোধীদের নিশানা করে জেপিসি চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালকে চিঠি লিখেছেন গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে৷ একইসঙ্গে তাঁর আর্জি, অবিলম্বে গোটা বিষয়ে তদন্ত করে দেখুক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ ই মেল পৌঁছেছে জেপিসির কাছে৷ এই ইমেলের মাধ্যমেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন বিভিন্ন রাজ্যের সাধারণ মানুষ জন৷ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, এই সব ইমেল পাঠানো হয়েছে পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, মোদি সরকারকে বিপাকে ফেলতে৷ নিশিকান্ত দুবের এহেন আচরণকে একেবারেই পাত্তা দিতে নারাজ বিরোধী শিবির৷ এই প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বুধবার বিরোধী শিবিরের এক বর্ষীয়ান সাংসদ বলেন, বিজেপি বুঝতে পেরেছে যে ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে৷ তাই বাধ্য হয়েই এই সব আজগুবি তত্ব সাজানোর চেষ্টা করছে৷ এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করার কোনও প্রকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে না বিরোধী শিবির৷

আরও পড়ুন- দ্বিতীয় দফাতেও কাশ্মীরে ভোটদান কম, কূটনীতিকদের এনে নজর ঘোরানোর চেষ্টা
