লাইফ সাপোর্ট নিয়ে নতুন নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। চিকিৎসাধীন অসুস্থ ব্যক্তির লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন কতটা, কীভাবে নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত সে বিষয়ে এই নির্দেশিকা। ইতিমধ্যে সেই নির্দেশিকার একটি খসড়া সামনে এসেছে। এই নির্দেশিকা নিয়ে চিকিৎসক মহলে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই খসড়া নিয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন সাধারণ নাগরিকরাও।

এই খসড়ায় চারটি শর্তের উল্লেখ করা হয়েছে। রোগীর পরিবার-পরিজন যদি আর লাইফ সাপোর্ট না রাখতে চান, অথবা লাইফ সাপোর্ট থাকলেও রোগীর পরিস্থিতি যদি কোনও উন্নতির সম্ভাবনা না পাশাপাশি একবারে গুরুতর হয় তখন এবং লাইফ সাপোর্টের কারণে রোগীর যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন পরিস্থিতি হলে সেক্ষেত্রে লাইফ সাপোর্ট তুলে নেওয়া যাবে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের খসড়ায় বলা হয়েছে, রোগীকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ন্যূনতম ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করতে হবে। এই ৩ সদস্যের মধ্যে একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান থাকবেন। আর বাকি দুজন থাকবেন নির্দিষ্ট রোগের বিশেষজ্ঞ। যাদের অন্তত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে।

যদিও খসড়া সামনে আসতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দেশের চিকিৎসক মহল। এবিষয়ে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আর বি অশোক বলেন, “এই সমস্ত শর্তাবলি চিকিৎসকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে এবং তাদের উপর চাপ বৃদ্ধি করবে। তাছাড়াও এই ধরনের শর্তাবলি আরোপ করা দেখে মনে হতে পারে, চিকিৎসকরা ভুল সিদ্ধান্ত নেন এবং সিদ্ধান্ত নিতে অহেতুক দেরি করেন। কিছু বিষয়কে বিজ্ঞান ও পরিস্থিতি হিসাবে পরিজন, বাবা মা এবং চিকিৎসকদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।”

আরও পড়ুন- আচমকা আরজি করে পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা! কিন্তু কেন?
