সব বিভাগে কাজে ফিরতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের: নির্দেশ SC-র, তদন্ত চলাকালীন সাসপেন্ড-ছুটি নয়

কর্মবিরতি তুলে কাজে ফিরলেও, সব পরিষেবা দিচ্ছে না জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctor)। সোমবার, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আর জি কর মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে এই অভিযোগ জানানো হয়। উত্তরে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির স্পষ্ট নির্দেশ, প্রয়োজনীয় সব পরিষেবা দেবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়ে দিয়েছে যে, সিবিআই তদন্ত চলাকালীন সাসপেন্ড করা বা ছুটিতে পাঠানো হবে না আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত কোনও চিকিত্‍সক বা প্রশাসনিক ব্যক্তিকে৷ ১৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে হবে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি৷এদিন শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির প্রসঙ্গ ওঠে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা (Junior Doctor)। এই কথার প্রতিবাদ করেন জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তাঁর দাবি, “প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।” পাল্টা প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন শুধু প্রয়োজনীয় পরিষেবা কথা বলা হচ্ছে? তা হলে কি সব সব ডিউটি করছেন না ডাক্তারেরা? ফের জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, প্রয়োজনীয় পরিষেবা মধ্যে বহির্বিভাগের পরিষেবা পড়ে না। তখন প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানান, জুনিয়র ডাক্তাররা হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্য সব বিভাগ-সহ প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেবেন। এই নির্দেশ শোনার পরে ফের বৈঠকে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই বৈঠকেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।

জুনিয়র চিকিত্‍সকদের তরফে  আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং জানিয়েছেন তাঁরা আদালতের নির্দেশ মেনে চলবেন৷ কেন তাঁরা এমন নির্দেশ দিচ্ছেন, তার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে  প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, একটি শিশু হাসপাতালে চিকিত্‍সার জন্য এলে আপনি বলতে পারেন না যে তাঁর চিকিত্‍সা করা হবে না, কারণ ডাক্তাররা শুধু জরুরি পরিষেবা দেবেন বলে স্থির করেছেন৷  রাজ্যের চিকিত্‍সা পরিষেবায় এই ধরণের কোনও বিভাজন তাঁরা মেনে নেবেন না, সাফ জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়ে দিয়েছে যে, সিবিআই তদন্ত চলাকালীন সাসপেন্ড করা বা ছুটিতে পাঠানো হবে না আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত কোনও চিকিত্‍সক বা প্রশাসনিক ব্যক্তিকে৷ এই দাবি তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিত্‍সকদের তরফে সওয়াল করা প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং৷  তাঁর যুক্তি ছিল, আরজি করের সঙ্গে যুক্ত সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারপরেও তাদের সাসপেন্ড করা হয়নি বা ছুটিতে পাঠানো হয়নি৷  প্রধান বিচারপতি নিজে এই আর্জি খারিজ করেছেন৷ এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, সিবিআই যদি রাজ্য সরকারের কাছে কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য বা অভিযোগ জমা দেয়, তাহলে রাজ্য সরকার তত্‍ক্ষণাৎ আইনমাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেই সময়েই স্থির হবে কাউকে সাসপেন্ড করা হবে না কি তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হবে। রাজ্য সরকারের এই যুক্তিতেই সিলমোহর দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷