ফের প্রশ্নের মুখে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা। হাসপাতালের(Hospital) মধ্যে চিকিৎসককে গুলি করে খুন। বুধবার মাঝরাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দিল্লির(Delhi) জইতপুরে নিমা হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন চিকিৎসক জাভেদ আখতার।ওইদিন মাঝরাতে হাসপাতালে আসে ২ কিশোর। তাদের মধ্যে একজন তার পায়ের ক্ষত ড্রেসিং করানোর জন্য মঙ্গলবার রাতে ওই হাসপাতালে গিয়েছিল। বুধবার রাতে সে তার এক সঙ্গীকে নিয়ে ফের হাসপাতালে যায় ও পায়ের ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে নতুন ব্যান্ডেজ লাগাতে বলে স্বাস্থ্যকর্মীদের। ড্রেসিং করার পর প্রেসক্রিপশন(Prescription) নেওয়ার জন্য চিকিৎসক জাভেদ আখতারের কেবিনে যায় দুজনেই।

কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসকের কেবিন থেকে গুলির আওয়াজ শুনতে পান স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারা কেবিনে গিয়ে চিকিৎসককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে হাসপাতালের অন্য চিকিৎসকরা জাভেদকে মৃত ঘোষণা করেন।হাসপাতালের তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযুক্তদের বয়স আনুমানিক বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তাদের চিহ্নিত করতে হাসপাতালের সিসিটিভি(cctv) ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেবিনের মধ্যে কী হয়েছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

চিকিৎসককে খুনের পরই অভিযুক্তরা হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে, চিকিৎসক খুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই যুবক কীভাবে হাসপাতালে ঢুকল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে বেসরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা(secuirity) পরিকাঠামো নিয়েও। এই ঘটনা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে চিকিৎসক সংগঠন। ইতিমধ্যেই দিল্লির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্যর্থ বলে দিল্লি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে আপ।

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। পশ্চিমবঙ্গে মূলত আন্দোলন চললেও দেশজুড়ে এই দাবি উঠেছিল। এরই মধ্যে দিল্লিতে এই ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। প্রশ্নের মুখে ফেলেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
