উৎসবের মরসুমে পথ দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমাতে রাজ্য সরকার বিশেষ ভাবে সতর্ক হচ্ছে। কলকাতার ও বিধাননগর কমিশনরাটের পাশাপাশি সমস্ত জেলা প্রশাসনকে এজন্য বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ কর্মসূচির আওতায় গাড়ি চালক ও পথচারিদের মধ্যে সচেতনতা প্রচার করতে বলা হয়েছে। দুচাকার গাড়িতে দুজনের বেশি ভ্রমণ, বিনা হেলমেটের যাত্রা এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো আটকাতেও পুলিশকে বিশেষ ভাবে তৎপর হতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বা ব্ল্যাকস্পটগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে আলাদা করে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সম্প্রতি পথ নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি দুর্ঘটনা আটকাতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। কলকাতার অন্যতম প্রবেশপথ ভিআইপি রোড এবং ইএম বাইপাসে পথদুর্ঘটনার হার অত্যাধিক হারে বাড়ার জন্য তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। ২০২৩ থেকে ২০২৪-এর ৩০ জুন পর্যন্ত বিধাননগর এলাকার মোট দুর্ঘটনার ৪৯ শতাংশই এই দুই রাস্তাতে ঘটেছে। বর্ষার পরে অনেক রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। সেগুলি দ্রুতমেরামত শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পথ দুর্ঘটনায় লাগাম টানতে রাজ্য় সরকার বর্ষার বৃষ্টির জেরে বেহাল রাস্তাঘাট যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের পূর্ত দফতরের তরফে সব জেলায় রাস্তা মেরামতি চলছে। বর্ষার মরশুমে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে, ভিআইপি রোড-সহ রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়েছিল ।পুজোর সময় যান চলাচল স্বাভাবিক করতে এবং গতি বাড়াতে ওই সব রাস্তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করা হয়েছে। রাস্তা মেরামতি এবং রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকার বরাবরই সচেষ্ট। শুধু কলকাতাই নয়, জেলায় জেলায় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলির বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ এসেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। তাই রাস্তা ধরে ধরে প্যাচওয়ার্ক (গর্ত মেরামতি) করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই ওই কাজ সম্পূর্ণ হবে।

আরও পড়ুন- জেলেই পুজো কাটবে পার্থর! বৃহস্পতিবার শুনানিতে জানাল আদালত
