Sunday, November 9, 2025

মিছিলের অনুমতি বাতিল হতেই গণইস্তফা! পুজোয় খবরে থাকার পন্থা চিকিৎসকদের

Date:

Share post:

ধর্মতলায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তা সত্ত্বেও মঞ্চ বেঁধে অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকরা। পঞ্চমীতে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা মিছিল। শহরের বড় দুর্গাপুজোয় সমস্যা সামলাতে মিছিল অনুমতি না দিলে ফের জবরদস্তি করা শুরু চিকিৎসকদের। আর জি করের সিনিয়র চিকিৎসকরা গণইস্তফাপত্র সই করলেন। তাঁদের দেওয়া রুট সামান্য কমিয়ে মিছিলের সুপারিশ পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও এবার তা মানতে নারাজ জুনিয়র চিকিৎসকরা। মিছিলের উদ্দেশ্য কী? পুজো অর্থনীতিকে বিপাকে ফেলা এই মিছিল ও তার পিছনে প্ররোচনা নিয়ে সরব প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ।

একদিকে পুজোর সময় হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা কম থাকে। তার মধ্যে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলে গণইস্তফার পথে গেলেন আর জি কর হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক। এর মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকরা যেমন রয়েছেন, তেমনই বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরাও রয়েছেন। তাঁদের দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে রাজ্যের সাড়া না পাওয়ায় তাঁরা এই পথে গিয়েছেন। যদিও সোমবারই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে জরুরি পর্যালোচনা বৈঠক ডাকা হয়েছে মঙ্গলবার। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে সেই বৈঠকে ফের হাসপাতালগুলির নিরপাত্তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরেও পরিষেবায় বিপাক ডেকে নতুন পথে সিনিয়র চিকিৎসকরা।

এই ইস্তফার সিদ্ধান্ত এলো বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা মিছিলের অনুমতি কলকাতা পুলিশ বাতিল করার পরে। এই রুটে শহরের দুটি বড় পুজো। সেই পুজোয় সোমবার থেকেই জনসমাগম দেখা গিয়েছে। পঞ্চমীর বিকালে তা আরও বাড়বে বলাই বাহুল্য। ফলে একদিকে পুজোর দর্শনার্থীদের ভিড়ের মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই দিকে নজর রেখেই এই রুটের অনুমতি সোমবার রাতে বাতিল করেছিল কলকাতা পুলিশ। তবে মিছিলের অনুমতি বাতিল করেনি কলকাতা পুলিশ। বিকল্প একটি রুটের প্রস্তাব দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকেও।

কিন্তু তার পরেও নিজেদের জেদেই অনড় চিকিৎসকরা। পঞ্চমী পুজোর বাজারে মিছিল না হলে পুজোমুখী মানুষের কাছে প্রচারের আলোয় থাকার সুযোগ হারাবেন চিকিৎসকরা। এবার তাই প্রচারে থাকতে নতুন পন্থায় পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত। বিচারের দাবি জানানো চিকিৎসকদের মিছিল নিয়ে অনড় মনোভাবে প্রশ্ন কুণাল ঘোষের। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “পুজো উপলক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায়। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার অর্থনীতিও সচল। এই সময় যারা মিছিল ডেকে পরিকল্পিত অস্থিরতা, উত্তেজনা, অরাজকতার চেষ্টা করে, তাদের চিনে রাখুন। সিবিআই চাওয়া হয়েছিল। তারা তদন্ত করছে। চার্জশিট দিয়েছে। কলকাতা পুলিশের গ্রেপ্তার করা সঞ্জয়েরই নাম আছে। তার পরেও মিছিল? অনশন? প্ররোচনা?”

spot_img

Related articles

বালিচকের প্লাটফর্মে ধাক্কা মালগাড়ির, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

রবিবার সকালে খড়্গপুর ডিভিশনে রেল দুর্ঘটনা। নটা নাগাদ বালিচক স্টেশনে বিকট আওয়াজে একটি মালগাড়ির ইঞ্জিন ধাক্কা মারে প্ল্যাটফর্মে।...

তারকেশ্বরে শিশুকন্যাকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার দাদু!

চার বছরের ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে মশারি কেটে বের করে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন। তারকেশ্বর স্টেশন (Tarkeswar Station) সংলগ্ন ড্রেন...

রবিবাসরীয় সকালে চাঁদনী চকের CESC অফিসের ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ!

সাতসকালে মহানগরীতে ফের অগ্নিকাণ্ড (Fire incident in Kolkata)। সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ চাঁদনী চকের CESC অফিসের একটি...

গ্রিন লাইনে ট্র্যাফিক ব্লক, রবির শেষ মেট্রোসূচিতে বদল!

ছুটির দিনে মহানগরীর পাতাল পরিষেবায় বদল। হাওড়া ময়দান - সেক্টর ফাইভ (Howrah Maidan to Sector V) রুটে শেষ...