অরাজকতার চক্রান্ত! প্রকাশ্যে ধর্মতলার অনশনে বামেদের সমর্থনে মুখোশ খোলার কটাক্ষ তৃণমূলের

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে দলের কর্মী সমর্থকদের সন্ধ্যার সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। পতাকা ছাড়া থাকার কথা বলা হয়

জুনিয়র চিকিৎসকদের লাগাতার আন্দোলন, অন সনে সরাসরি বামেদের মদতের দাবি রাজ্যের শাসকদল বারবার জানিয়ে এসেছে। নবমীর সন্ধ্যায় ডাক্তারদের ডাকা সমাবেশকে পোস্টার (poster), সাংবাদিক বৈঠক (press meet) করে সমর্থন জানানোর পরে স্পষ্ট হয়ে গেল সেই লুকানো ছবিটা। বাম মদতে অরাজকতার চক্রান্ত নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না শাসকদলও।

বারবার বৈঠক, রাজ্যের পদক্ষেপের পরেও একরোখা জুনিয়র ডাক্তাররা (junior doctors)। আন্দোলন. কর্ম বিরতি করে রোগী হয়রানির পরে উৎসবের মরশুমে শহরের বুকে অনশন। শেষ পর্যন্ত একের পর এক মেডিক্যাল কলেজে গণ ইস্তফার তোড়জোড়। এর পিছনে আসলে মদত কোথা থেকে আসছিল স্পষ্ট হল শুক্রবার। যখন বামেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) পোস্টার দিয়ে ডাক্তারদের ডাকা সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হল।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে দলের কর্মী সমর্থকদের সন্ধ্যার সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। পতাকা ছাড়া থাকার কথা বলা হয়, যেহেতু ডাক্তাররা বারবার রাজনৈতিক দলের প্রবেশে নিষেধ করেছিল। তবে সেই সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে এতদিন কারা ডাক্তারদের আন্দোলন, অনশন মঞ্চ ভরিয়েছে তা শুক্রবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

বাম ও ডাক্তারদের যোগাযোগ প্রকাশ্যে চলে আসায় সরব প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি দাবি করেন, “মুখোশ খুলে গেছে। ধর্মতলার মঞ্চে সমাবেশে খোলাখুলিভাবে যাচ্ছে সিপিএম। কলকাতা, শহরতলির লোকাল কমিটিতে ফোন যাচ্ছে। ফেবুতে, গ্রুপে পোস্ট। পুজোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা। সিপিএম, এসইউসি, উগ্র বাম মিলিত হয়েছে।”

সেই সঙ্গে বামেদের দ্বিচারিতাকেও এক হাত নেন তিনি। তাঁর কথায়, “কমরেড, ডাঃ অনিতা দেওয়ান, নার্স বর্ণালী দত্তর জন্য যেন নীরবতা পালন হয় ডাক্তারদের মঞ্চে। রাজনীতি করতে আপনারা মহাষ্টমীকেও বাদ দিলেন না। তদন্তে সিবিআই, মামলা কোর্টে। তারপরেও অনশন করিয়ে অরাজকতার চক্রান্ত।”