জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজ্যপালের (Governor of West Bengal) কাছে ‘ক্ষোভ’ জানাতে গিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরলেন। কারণ বিশ্রাম মোডে চলে যাওয়া রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাই হল না তাঁদের। তবে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে এক একটি বৈঠকের আগে বারবার দর কষাকষি চালাতে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের রাজভবন অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল। সাক্ষাৎকারীর সংখ্যা থেকে লাইভ স্ট্রিমিং (live streaming) – কোথায় গেল চিকিৎসকদের আবদারের ঝুড়ি, প্রশ্ন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের।

সিবিআই তদন্তে আস্থা নেই। ক্ষোভ জানাতে রাজভবন (Rajbhavan) অভিযানের ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোমবার সেই অভিযানে পুলিশ তাদের আটকে দিলে পুলিশের শর্ত মতো ১২ জন জুনিয়র চিকিৎসক রাজভবনের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি পান। তাতেই সম্মত হন চিকিৎসকরা। এই প্রসঙ্গেই কুণাল ঘোষ মনে করিয়ে দেন, কীভাবে নবান্নে (Nabanna) বৈঠকে ৩০ জন উপস্থিত থাকার দাবি জানিয়ে বৈঠক ভেস্তে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তাহলে রাজভবনে কেন সেই দাবি তাঁরা রাখেননি, প্রশ্ন কুণালের।

সেই সঙ্গে লাইভ স্ট্রিমিং নিয়েও কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। তিনি বলেন, লাইভ স্ট্রিমিং (live streaming) করতে হবে, মিনিটস (minutes) সঠিকভাবে রাখতে হবে, এই দাবি নিয়েও দিনের পর দিন বৈঠকে বসেননি চিকিৎসকরা। অথচ রাজভবনে (Rajbhavan) কেন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের (live streaming) দাবি নেই, প্রশ্ন তৃণমূল নেতার। সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ভিতরে বিজেপি-বাম-নকশাল কোনও আঁতাঁত হল কিনা তা কীভাবে বোঝা যাবে? দীর্ঘ সময় ধরে নতুন কোনও অরাজকতার পরিকল্পনা হয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

সোমবার ধর্মতলা থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করে গিয়েও মাত্র ১২ জন চিকিৎসক রাজভবনে ঢোকার অনুমতি পান। দীর্ঘ সময় সেখানে অপেক্ষার পরে বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নিজেদের দাবি পেশের অনুমতি পান। সেই সময়েও মাত্র ৫ সদস্যকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে রাজ্যপালের (Governor) সঙ্গে দেখা করতে না পরে শুধুমাত্র স্মারকলিপি (deputation) জমা দেন তাঁরা। বাইরে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও ভিতরে রাজ্যপালের সব নির্দেশ মেনেই কর্মসূচি পালন করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
