প্রয়াত খ্যাতনামা পরিচালক দেবকীকুমার বসুর ছেলে পরিচালক পুত্র দেবকুমার বসু। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কিংবদন্তি পরিচালক দেবকী বসুর একমাত্র পুত্র সন্তান তিনি। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সিনেপাড়ায় শোকের ছায়া। শুক্রবার দুপুরে তার মুদিয়ালির বাসভবনে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরদেহ নিয়ে আসা হবে। ছোট পর্দায় দেবকুমার বসুর ধারাবাহিক ‘বিবাহ অভিযান’ বহুল জনপ্রিয়। এই ধারাবাহিকের হাত ধরে প্রথম খ্যাতি পান শঙ্কর চক্রবর্তী, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, জয় বদলানি প্রমুখ।

বাংলা নয়, মণিপুরকে ছবির প্রথম স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তার জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন দেবকুমার। প্রথমে অসম, সেখানে গিয়ে অনেক কষ্টে তৈরি করেছিলেন প্রথম ছবি সংগ্রাম।সেই ছবি সকলের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এরপর তার নজর যায় মণিপুরে। সেখানে তখনও কোনও ছবি তৈরি হয়নি। যে জায়গায় কেউ ছবির জগত সম্পর্কে অবগতও ছিলেন না, জানতেন না অভিনয়, ক্যামেরা কোনও কিছুই। সেই মণিপুরেই একটা সময় নিজের ছবি তৈরি করেছিলেন দেবকুমার।

মণিপুরী ছবির দুনিয়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মণিপুর তাঁকে ‘দেবতা’জ্ঞানে পুজো করে।তার প্রয়ানের খবর ছড়াতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের বিনোদন দুনিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।তার মৃত্যুতে শেকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, আমাদের শহরের একজন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কর্মী এবং শিবমন্দির দুর্গাপূজার স্তম্ভ দেবকুমার বসুর মৃত্যুতে শোকাহত। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা দেবকী কুমার বসুর পুত্র, নিজে একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সিটি কাউন্সিলর দেবাশিস বোসের পিতা, দেবকুমার একটি বিশিষ্ট বংশের এবং একটি সংস্কৃতিবান পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আমার প্রতি তার গভীর স্নেহ ছিল এবং আমি তাকে সত্যিই মিস করব। তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের প্রতি আমার সমবেদনা।

বাবার মতো দেবকুমার বসু পরিচালনায় এলেও তাঁর ছেলে দেবাশিস বসু বিনোদন দুনিয়ায় নেই। তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দেবকুমার বসুর পুত্রবধূ মানসী বসু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তিনি কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর।

