শুক্রবার শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালের দোতালায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে শনিবারেও ব্যাহত রোগী পরিষেবা। এদিন সকাল থেকেই দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগী এবং তাঁদের পরিবারের হয়রানির ছবি ধরা পড়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর শুধু আউটডোরই নয়, ল্যাবের বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষাও এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে।

হাসপাতালের ওটি সংস্কারের কাজ চলার সময় শর্টসার্কিটের জেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যার ফলে বহির্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীরা বলছেন আগুন লাগার ঘটনা না হয় সদ্য ঘটেছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এখানে সঠিক পরিষেবা মেলে না। কেউ থ্যালাসেমিয়ার ওষুধ পাচ্ছেন না, কেউ কেমোথেরাপির ডেটের জন্য ঘুরেই চলেছেন। কারও অভিযোগ, চিকিৎসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! এখানেই শেষ নয়, এই হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথাযথ নেই। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানিয়েছেন, ‘এই হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছিল দেড় বছর আগে। ইএসআই হাসপাতাল যেহেতু কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের অধীনে, তাই সেই কাজ শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পুরোপুরি হয়নি।’ হাসপাতালের সুপার অদিতি দাস মন্ত্রীর এই দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন। সবমিলিয়ে একটা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকগুলো প্রশ্নের মুখে শিয়ালদহ ESI হাসপাতাল।
