জেলের নাম বদলে হয়েছে সংশোধনাগার। সেখানে অপরাধীদের সংশোধনের চেষ্টা হয়। চেষ্টা হয়ে অপরাধ জগৎ থেকে সরিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার। এই প্রচেষ্টাকে সামনে রেখেই হয়ত এক মামলায় অভিনব নির্দেশ দিল তমলুক সিজেএম আদালত (CJM Court)। পাঁচ অনলাইন জুয়াড়িকে জামিনের শর্ত দেওয়া হল তমলুক রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সেবাশ্রমে যে ২০ দিন সেবামূলক কাজ করতে হবে তাঁদের। সেই শর্ত মেনেই এখন সেবামূলক করছেন তাঁরা।

তমলুকের নিমতৌড়িতে ২৪ অক্টোবর অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করে তমলুক থানার পুলিশ। তাঁদের তমলুক সিজেএম কোর্টে (CJM Court) তোলা হলে তিনটি শর্তে তাদের জামিন দেন বিচারক অভীক কুমার চট্টোপাধ্যায়।
• প্রথম- কোর্টের নির্দেশ ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না
• দ্বিতীয়- সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজিরা দিতে হবে
• তৃতীয়- তমলুক রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সেবাশ্রমে ২০ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেবা মূলক কাজ করতে হবে তাঁদের। আদালতের নির্দেশের কপি সঙ্গে সঙ্গেই পাঠানো হয় রামকৃষ্ণ মিশন।

আদালতের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই কাজ যোগ দিয়েছেন ৫ অভিযুক্ত- হরিপদ মণ্ডল, সুধীর শেঠ, রবি রাউত, শেখ আশিক আলি ও মুর্শেদ মল্লিক। সকাল ১০টায় হাজিরা খাতায় সই করে আশ্রমে ঢুকছেন তাঁরা। দিনভর কেউ ঝাড় দিয়ে সাফসুতরো করছেন আশ্রম, কেউ ঝাড়চ্ছেন ঝুল। কেউ আবার দাতব্য চিকিৎসালয়ের কাজে হাত লাগাচ্ছেন। ৫টায় ছুটি হলে অধ্যক্ষের কাছ রাখা হাজিরা খাতা সই করে বাড়ি ফিরছেন।

তমলুক জেলা আদালতের বিচারকের অভিনবে রায় খুশি সরকারি ও অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন সবাই।
