উৎসবের আমেজ শেষ হতে না হতেই রাজ্যে ফের ভোট উৎসব শুরু। লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha election) পর পুজোর আগে রাজ্যে হয়েছিল চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন (By Election)। বকেয়া ছিল আরও ছটি। আজ সেই ভোট পর্ব। ১০৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF) এবং সশস্ত্র রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police)কড়া নিরাপত্তা সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, সিতাই-এর জয় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ধরে রাখতে চাইবে। পাশাপাশি এবার শুভেন্দু-সুকান্ত এতটাই ব্যাকফুটে যে উত্তরবঙ্গের মাদারিহাট জয়ের ব্যাপারেও ১০০ শতাংশ আশাবাদী রাজ্যের শাসকদল। রাজনৈতিক মহল বলছে এই ছয় কেন্দ্র থেকে পুরো ফায়দা তুলতে প্রস্তুত তৃণমূল কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনে নৈহাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল ৭৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে। সনৎ দে এবার এই কেন্দ্র থেকে জোড়া ফুলের টিকিটে লড়ছেন। হাড়োয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি ভোট, এবারে সেখানে প্রার্থী হয়েছেন রবিউল ইসলাম। মেদিনীপুরে ১ লক্ষ ২১ হাজারের বেশি ভোট, তালডাংরা বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ৯২ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিল। এই দুই কেন্দ্রে এবার লড়াই করছেন সুজয় হাজরা এবং ফাল্গুনী সিংহবাবু।সিতাই কেন্দ্রে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সঙ্গীতা রায়। গতবার তৃণমূল কংগ্রেস মাদারিহাটে ভোট পেয়েছিল ৬১ হাজারের কিছু বেশি। সেই জায়গায় বিজেপির ভোট ছিল ৯০ হাজারের বেশি। বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন মনোজ টিজ্ঞা। মাদারিহাট কেন্দ্রে এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো। রাজ্যের গত ৫ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, উপনির্বাচনে একচেটিয়া জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল (TMC)। এবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
