প্রাণে বেঁচে গেলেও আতঙ্কের ঘোর কাটছে না ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের (Sushanta Ghosh)। দক্ষিণ কলকাতার কসবায় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলরকে শুক্রবার সন্ধ্যায় পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি করার চেষ্টা করেছিলেন ভাড়াটে শুটার। এই ঘটনায় ভিন রাজ্যের যোগ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। বিহার থেকে আনা তিন দুষ্কৃতীদের বন্দর এলাকায় রেখে শুক্রবার ট্যাক্সি করে কসবায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর স্থানীয় যুবক যুবরাজের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাঁকে স্কুটারে করে হামলার জন্য পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। জেরার মুখে জানিয়েছেন যে সুশান্তকে শুধুমাত্র ভয় দেখানোর জন্য আড়াই হাজার টাকা অ্যাডভান্স দেওয়া হয়েছিল। তিলজলায় বসেই যে হামলার ছক কষা হয়েছিল সে কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। ট্যাক্সিচালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পরা বয়ানে অসংগতি মেলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবরাজ (Yuvraj) মহম্মদ ইকবাল নামে এক ব্যক্তির দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। ট্যাক্সি চালকের সঙ্গেও ইকবালের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত সুশান্ত রাজনীতি ছাড়ার ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে খবর।

যুবরাজের দাবি, খুন নয় বরং ভয় দেখানোর জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মহম্মদ ইকবালের অস্তিত্ব আছে কি? ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে সুশান্তের বাড়ির সামনে লাগানো সিসি ক্যামেরায়। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, স্কুটারে করে আসা দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে এক জনই গুলি চালানোর চেষ্টা করে। আতঙ্কের ঘোর কাটছে না কাউন্সিলরের। এর আগেও তাঁর উপর আক্রমণ হয়েছে কিন্তু এবারের ঘটনায় তিনি অত্যন্ত ব্যথিত বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন,’ আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, আমার পক্ষে খুব হতাশাজনক। আমি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ছিলাম। ১২ বছর কাউন্সিলার ছিলাম। আমার নিজের ওয়ার্ডে, নিজের পাড়া, নিজের বাড়ির তলায় এই ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে, আমি ভারতে পারছি না। আমি খুব আঘাত পেয়েছি। আমি হতাশ, আমি শকড।এরপর রাজনীতিতে থাকব কিনা ভাবব।’ দলীয় সূত্রে খবর, গুলিকাণ্ডের পর সুশান্তকে ফোন করে তাঁর খবর নিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এদিন বেলা একটা নাগাদ পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ঘটনাস্থলে যান সঙ্গে ছিলেন ডিসি বিদিশা কলিতা। কাউন্সিলর এর উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
