Thursday, August 21, 2025

আবাস-লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-কৃষক বন্ধু, তিন অস্ত্রেই কেন্দ্রকে বঞ্চনার জবাব দিচ্ছে তৃণমূল

Date:

Share post:

বাংলার মানুষের অধিকার ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গীকার পূরণ ডিসেম্বরেই। বঞ্চনা করে বাংলার উন্নয়নকে দমিয়ে রাখা যায় না, যাবে না। বাংলাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না দিল্লির জমিদাররা। কারণ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই একশো। তিনি কেন্দ্রকে তোয়াক্কা করেন না, কেন্দ্রের ভরসাতেও থাকেন না। ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া থেকে শুরু করে আবাস যোজনা, সবেতেই বাংলা স্বনির্ভর। প্রতিশ্রুতি মতো ১০০ দিনের শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়েছেন নিজের তহবিল থেকে। এবার আবাস যোজনার টাকা দিয়ে উপভোক্তাদের ঘর বানিয়ে দিচ্ছেন তিনিই। সেই সঙ্গে কৃষক বন্ধু সহায়কও বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাংলা আজ দেশের রোল মডেল। এই তিন অস্ত্রেই আপাতত কেন্দ্রকে বঞ্চনার জবাব দিতে তৈরি হচ্ছে তৃণমূল।
একক প্রচেষ্টায় বাংলায় ৪০টিরও বেশি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালাচ্ছেন মা-মাটি-মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার একটার পর একটা প্রকল্প বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য তাঁর প্রকল্পকে মডেল হিসেবে মান্যতা দিয়েছে। উন্নয়নে নজির গড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনহিতকর সব প্রকল্প ফিরিয়ে দিচ্ছে বাংলার মানুষের প্রাপ্য অধিকার।
যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তেমনই কাজ। অক্ষরে অক্ষরে অঙ্গীকার পূরণ করছেন তিনি। তাঁর দেওয়া কথামতো ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই আবাস যোজনার ১২ লক্ষ উপভোক্তা পাচ্ছেন প্রথম কিস্তির টাকা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বঞ্চনা করছে বলে উন্নয়ন থেমে থাকবে না বাংলায়। সবার মাথার উপরে থাকবে পাকা ছাদ। জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষকে পাকা ঘর দিতে বাংলা স্বনির্ভর। দিল্লির জমিদারদের কোথায় থাকতে হবে না বাংলার মানুষকে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১২ লক্ষ বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করবে মা-মাটি-মানুষের সরকার।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা এবং কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করার পর শুধু আবাস যোজনায় প্রত্যেকের মাথার উপর পাকা ছাদ করে দেওয়ার লক্ষ্যেই থেমে নেই বাংলার সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও বৃহৎ আকার নিচ্ছে। এই প্রকল্পে উপকৃত বাংলার ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা। আরও ৫ লক্ষ ৭ হাজার মহিলা যুক্ত হচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। গর্বের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন লক্ষীর ভাণ্ডার আজ দেশের রোল মডেল।
এছাড়াও নতুন ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে ১ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষককে সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার। অন্নদাতাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে মা-মাটি-মানুষের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ২,৯০০ কোটি টাকা। চাষিরা পাবেন ‘বাংলার শস্য বিমা’র টাকাও। উপকৃত হবেন বাংলার ১ কোটিরও বেশি কৃষক। ৫,৮৫৯ কোটি টাকা এ বছরের রবি মরসুমে সহায়তা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট সহায়তা ২১,১৩৪ কোটি টাকা। কৃষক-দরদি সরকারের মানবিক পদক্ষেপে খুশি বাংলার কৃষকরা। মুখ্যমন্ত্রী জনমুখী প্রকল্পে খুশি বাংলার মানুষ।

3.
4.
5.
6.
7.
8.
9.
10.

spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...