সনৎ দে (প্রার্থী) : মানুষের চাহিদা মত পার্থ ভৌমিকের পরামর্শে নৈহাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে ভরিয়ে দেব। দল এবং মানুষ আমার উপর ভরসা রেখেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।

পার্থ ভৌমিক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে বিরোধীরা যে কুৎসা করেছে তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে বাংলার মানুষ। এখানে বিরোধীদের সঙ্গে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এখানে কাজ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করাটা ভালো চোখে নেয়নি ভোটাররা। তাই এত বড় জয়।
রবিউল ইসলাম (প্রার্থী) : আমার জয় বাবাকে উৎসর্গ করলাম। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার উপর ভরসা রেখেছিলেন, তাদের কাছে আমার দলের সকল নেতা মন্ত্রী কর্মী সমর্থক সর্বপরি হাড়োয়ার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিরোধীরা যেভাবে অপপ্রচার করেছে, হাড়োয়ার মানুষ তার জবাব দিয়েছেন। মানুষ আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। বাংলার উন্নয়নের সঙ্গে আছেন।

সুজিত বসু : এই জয় প্রত্যাশিত ছিল। উন্নয়নকে সামনে রেখেই ভোট হয়েছিল। গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষ জানেন তাদের একমাত্র ভরসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তারা উজাড় করে ভোট দিয়েছেন। তাতেই বিরোধীরা ধরাশায়ী। আগামীদিনে হাড়োয়াতে আরও উন্নয়ন হবে রবিউলের হাত ধরে। হাড়োয়ার মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। এই জয় মানুষের জয়।
জয়প্রকাশ টপ্পো, মাদারিহাট : এবার মাদারিহাটের মানুষের ঋণ শোধের পালা। উপ নির্বাচনে মানুষের কাছে গিয়ে ভোট নয়, ঋণ চেয়েছিলাম দেড় বছর সময়কালের।মানুষ আমাকে মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জির সৈনিক হিসেবে সেই সময়কাল ঋণ হিসেবে দিয়েছেন। আমি তাদের প্ৰতি কৃতজ্ঞ। বিধায়ক হিসেবে তাই দিদির অনুপ্রেরণা ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার আমার মাদারিহাটের মানুষের সেই ঋণ পরিশোধ করবো উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে। বিগত আট বছরে বিজেপির বিধায়ক তো কিছুই করেন নি, যেটুকু কাজ হয়েছে সবটাই রাজ্য সরকার করেছে, তাই এবার এই এলাকার মানুষের সার্বিক উন্নয়নে যেখানে যেটুকু দরকার একজন বিধায়ক যতটা করা যায় সেই সীমা অতিক্রম করে কাজ করতে চাই। আমার বিধানসভা এলাকায় মাদারিহাটে একটি কলেজের দাবি বহু দিনের।শিক্ষার বিস্তার না হলে মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়, তাই সেই দাবি পুরনে সচেষ্ট হব সর্বাগ্রে। গয়েরকাটায় একটি থানা ও গ্রামীণ হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তার কথা সেখানকার মানুষ আমাকে বলেছে, আমিও সেটা অনুধাবন করেছি। এই কাজ দুটিকেও কাজের তালিকার প্রথম সারিতেই রাখতে চাই। আমার বিধানসভার মূল বাণিজ্য নগরী বীরপাড়াতে লেবেল ক্রসিং এর যানজট নিরসনে রেল ওভার ব্রিজ নিয়ে দ্রুত কাজ করতে হবে। আমার বিধানসভা এলাকায় চা বাগান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার আমাদের সরকার দিয়েছে, সেই জমির পাট্টা যাতে সমস্ত চা শ্রমিক পায় সেই ব্যবস্থা করবো। ইতিমধ্যেই বহু চা বাগানে রাজ্য সরকারের যুগান্তকারী প্রকল্প চা সুন্দরী শ্রমিকরা পেয়েছেন। আগামীদিনে যাতে সকল চা শ্রমিক এই প্রকল্পের সুবিধা পান সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। এছাড়াও আরো বহু কাজ আছে অঞ্চল ভিত্তিক সেগুলোকে আগ্রাধিকার দেবো। সময় কম, দায়িত্ব অনেক বেশী। আশা করছি মমতা দি ও অভিষেক দার আশীর্বাদ ও সহায়তায় আমি মাদারিহাটের মানুষের আশা পূরণ করতে পারবো।

সঙ্গীতা রায়, সিতাই : আমি আপ্লুত। আমার বিশ্বাস ছিল সিতাই এর সবাই আমায় আশীর্বাদ করবেন। এভাবে সবাই আমার পাশে আছে আমি গর্বিত। আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। সিতাই এর জন্য যা পরিসেবা দরকার। আমি সবসময় সিতাই এর মানুষের পাশে থাকব। আমি সবসময় সিতাই গ্রামের মানুষের সঙ্গে ছিলাম আছি থাকব। সিতাই যেভাবে আমায় ভরসা করেছে আমি তার মান রাখব। আমায় সিতাই এর মানুষ কাকিমা বলে ডাকে। আমি সবসময় পাশে আছি সকলের। দিনে রাতে সবসময় পাশে থাকব ।
প্রকাশচিক বড়াইক (সাংসদ)
এই জয় আমাদের ২০২৬-এর অক্সিজেন জোগাল। প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করব। পথ দেখাল মাদারিহাট, ২০২৬-এ জেলার ৫টি আসনই আমরা জিতব। মাদারিহাটের মানুষকে ধন্যবাদ।

জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। সাংসদ
সঙ্গীতা রায় জিতবেন জানতাম। ওনার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আছে। মহিলারা দু’হাত ভরে ভোট দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল উন্নয়নই জয় এনেছে। প্রচারে গিয়েই মানুষের সমর্থনের আভাস পেয়েছি। ভোট বাক্সে তার ফল মিলল।

আরও পড়ুন- স্বচ্ছতা আনতে কড়া পদক্ষেপ কমিশনের! এবার সেট পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের এডমিটে থাকছে কিউআর
