পরীক্ষার লাইভ স্ট্রিমিং-এ আপত্তি জুনিয়র ডাক্তারদের! সুস্থভাবে পরীক্ষা দিতে কীসের ভয়?

আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে বারবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং এর দাবি করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অথচ পরীক্ষা হলে লাইভ স্ট্রিমিং-এর সিদ্ধান্তে বেঁকে বসছেন বহু মেডিক্যাল পড়ুয়া। প্রশ্ন উঠছে আপত্তি কেন? স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষা দিতে হবু ডাক্তারবাবুদের সমস্যা কোথায়? পরীক্ষার স্বচ্ছতা আনতে যখন স্বাস্থ্য দফতর (Department of Health And Family Welfare) লাইভ স্ট্রিমিং-এর কথা বলেছে ঠিক তখনই বেঁকে বসেছেন মেডিক্যাল পড়ুয়াদের (Medical students) একটা বড় অংশ। তাহলে কি সত্যিই, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’? ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে আসার ভয় পাচ্ছেন নাকি জুনিয়র চিকিৎসকেরা?

WBJDF রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পরীক্ষার স্বচ্ছতা আনার দাবি করেছিল। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপের কথা বলেন। সেই মতো কাজ শুরু হতেই বেঁকে বসেছেন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন, যে পরীক্ষার সময়ে কোনও রকমের কড়াকড়ি করা যাবে না। দিন কয়েক আগে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় ১৫ জন পরীক্ষার্থীর গার্ড দিতে ৫ জন পরীক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল। যার ফলে জুনিয়র ডাক্তারবাবুরা বুঝে গেছেন যে আগামী সেমিষ্টারে আর কঠোর হবে এই পদক্ষেপ। ২৮ ডিসেম্বর থেকে অষ্টম সেমিস্টার শুরু হচ্ছে। তাই খবরের শিরোনামে থাকার জন্য এবং মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে যে কড়া নিয়মের বুলি আওরে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, এখন তাঁরা নিজেদের জালেই ফেঁসে গেছেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় (Mousumi Banerjee, Principal of Burdwan Medical College) অবশ্য জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ভবনের গাইডলাইন মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং লাইভ স্ট্রিমিংটাও হবে। ফলে বিপাকে জুনিয়র ডাক্তারবাবুরা।