মধ্য-প্রাচ্যে অবশেষে বন্ধ ধ্বংসলীলা বন্ধ হওয়ার ইঙ্গিত। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে কোণঠাসা হিজবোল্লাকে খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে ইজরায়েল (Israel)। সেই সঙ্গে এবার ইজরায়েল নিজের দেশে বিশেষত গাজা (Gaza) এলাকায় ধ্বংসাবশেষ থেকে খড়কুটো উদ্ধারেরও চেষ্টা চালাতে পারবে। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া ভারতের পক্ষ থেকে ইজরায়েলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হল। যুদ্ধবিরতির মধ্যে দিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় ফের শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের (MEA) তরফে।

যুদ্ধবিরতির পথ যে বেশি দূরে নেই তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল লেবাননে (Lebanon) ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ থেকে ইজরায়েল বিরতি নেওয়ার পরে। সেপ্টেম্বরেই গাজার উত্তরসীমান্তে নিজের দেশের নিরাপত্তা দিতে নজর ঘোরায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyuahu) দেশ। এরই মধ্যে ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে একরম জয় হিসাবেই দেখছে হিজবোল্লা (Hezbollah)। বুধবার ভোরে ইজরায়েলের ঘোষণার পরই দলে দলে লেবানিজদের ঘরে ফিরতে দেখা যায়। সেই ছবি ছিল রীতিমত উৎসবের। পরে ইজরায়েলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় হামাসও। একের পর এক নেতাকে ইজরায়েলের হাতে খুইয়ে কার্যত ইজরায়েলের সামনে ভেঙে পড়ছিল হিজবোল্লা-হামাসের জোট।
সম্প্রতি চাবাহার বন্দর নিয়ে ইরানের (Iran) রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেসকিয়ানের সঙ্গে মোদির বৈঠকের সময় ইরানের পক্ষ থেকে মধ্য-প্রাচ্যের যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক ও চুক্তি স্বাক্ষর করেন ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গেও। সেই সময়ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভারতের পক্ষ থেক অনুরোধ জানানো হয়েছিল। অবশেষে দুমাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করায় ইজরায়েলকে স্বাগত জানালো ভারত। বিদেশমন্ত্রকের (MEA) তরফে জারি করা বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে ভারত চিরকালই হিংসার পথ থেকে সরে সংযম ও আলোচনার পথ গ্রহণের পক্ষে বার্তা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই যুদ্ধবিরতির প্রভাব বৃহত্তর এলাকায় পড়বে বলে আশা প্রকাশ করে বিদেশমন্ত্রক।
