প্রতি বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ, তার ব্যবহার নিশ্চিত করা-সহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সার্বিক পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলতে তৎপর রাজ্য সরকার। আর সেই কারণে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভক্তাদের শৌচাগার তৈরির জন্য আলাদা করে টাকা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। এদের মধ্যে যাদের উপযুক্ত শৌচাগার নেই তাদের তা তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্নে সূত্রে খবর। এজন্য তাদের দুই কিস্তিতে আরও ১২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই টাকার জন্য উপভক্তাদের আলাদা করে আবেদন জানাতে হবে। আবাস প্রকল্পের যেসব উপভক্তা ইতিমধ্যেই সরকারি শৌচাগার পেয়েছেন অথচ তা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে তাদের নতুন বাড়ির সঙ্গে শৌচালয় নতুন করে গড়ে দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার।

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের যাচাই পর্ব চালুর আগেই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল (এসওপি) জারি করেছিল রাজ্য। সেই এসওপিতেই ঠিক করা হয়েছিল, অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের মাধ্যমেই শৌচাগার, বিদ্যুৎ, পানীয় জলের মতো মৌলিক সুবিধা প্রদান করা হবে। আবার এই সমস্ত উপভোক্তা পরিবারকে আনন্দধারা প্রকল্পের অধীনেও আনা হবে। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের নির্মল বাংলা বিভাগ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ছাড়ার কাজ শুরু হতেই এই সমস্ত বাড়িতে শৌচাগার সুনিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হবে শীঘ্রই। ওই কাজের জন্য জেলাগুলিকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হবে।

–

–

–

–

–

–

–

–

–