মেট্রো স্টেশনে চুম্বনরত যুগল, নয়া বিতর্কে দুই তিমিরে সুমন-মমতা! কে ঠিক?

কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে অজ্ঞাত পরিচয় যুগলের চুমু খাওয়া (Kissing incident in Kalighat Metro Station)নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে শহরে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়। জনসমক্ষে প্রেমিক- প্রেমিকার চুমুতে যখন সাহসের বহিঃপ্রকাশ দেখছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee), বিরসা দাশগুপ্ত (Birsa Dasgupta) কিংবা শ্রীলেখা মিত্ররা, তখন সম্পূর্ণ ভিন্নমত অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের (Mamata Shankar)। সাফ জানালেন, ভালবাসা থাকবে কিন্তু সেটার মাধুর্য বাড়ে তার আব্রু থাকার কারণে। এই প্রসঙ্গে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির উদাহরণ টেনে এনে বর্ষীয়ান শিল্পী বলেন, বিদেশ থেকে খারাপ জিনিসগুলো আমরা গ্রহণ করছি এই বিষয়টা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। যদিও সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করছেন সংগীত শিল্পী কবীর সুমন (Kabir Suman)। ‘বয়স থাকলে বান্ধবীদের বলতাম চল চুমু খাই’, মন্তব্য ‘গানওয়ালা’র।

দিন কয়েক আগে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে চুম্বনরত যুগলের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চারিদিকে তোলপাড়। অনেকেই বলছেন স্বাভাবিক প্রেমের বহিঃপ্রকাশ, কেউ কেউ বলছেন স্বেচ্ছাচারিতা। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি প্রত্যেকেই দ্বিধা বিভক্ত। কয়েক মাস আগে শাড়ির আঁচল বিতর্কে জড়িয়ে পরা মমতা শঙ্কর এবারেও সক্রিয়। বলছেন, ‘এরপর তো সবকিছু করার সাহস হয়ে যাবে। স্থান, কাল, পাত্রের কোনও জ্ঞান থাকবে না জন্তুরাও বোধহয় আমাদের থেকে ভালো এই জন্যই তো আজকাল এত রেপ হচ্ছে। বাচ্চারা ছোট থেকে হাতে মোবাইল পেয়ে এসব দেখছে। ওদের মূল্যবোধ কোথায় যাবে?’

মেট্রো স্টেশনের ভিড় উপেক্ষা করে একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে প্রেমে মগ্ন হয়ে থাকা যুগলের দৃশ্য এখন সবার মনের টাইমলাইনে জায়গা করে নিয়েছে। মুঠোফোনে সেই মুহূর্ত বন্দি হয়েছে দেখে যখন নবীন প্রজন্মের একাংশ খুশি, তখন প্রবীণ প্রজন্মের কেউ কেউ আবার নাক সিঁটকেছেন। এক্ষেত্রে অবশ্য ‘বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি খাওয়া কবীর সুমন (Kabir Suman) ব্যতিক্রমী। ‘জাতিস্মর’ স্রষ্টা বছর শেষে মেট্রোর চুমু নিয়ে এত হইচই এর মধ্যে ব্রেখটের কবিতা মনে করছেন। ৭৬ বছরের শিল্পী বলছেন, ‘বুড়ো মানুষ হয়ে গেছি তারপরও এসব দেখে ভেবেছিলাম বান্ধবীদের বলব, চলতো আমরা চুমু খাই। দেখি তো কী হয়।’ গায়কের বক্তব্য একেবারে পরিষ্কার। তিনি বলছেন, ‘বিয়ের সময় আগুনে খই ফেলার রীতিতে স্বামীর সুন্দরভাবে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন। তখন তো দুজনের শরীর পরস্পরকে ছুঁয়ে যায় তাতে তো কোন আপত্তি হয় না। কিংবা খ্রিস্টান বিয়েতে চুমু খাওয়ার রীতি রয়েছে সেখানে তো কোন সমস্যা নেই।’ হানাহানির ভিড়ে শিরোনাম দখল করে থাকা হিংস্রতা আর মৃত্যুর খবরের বাইরে যদি ভালবাসা এভাবেই প্রকাশ্যে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ক্ষতি কী? সবমিলিয়ে চব্বিশের প্রায় শেষ লগ্নে চুমু নিয়ে চরম হইচই বঙ্গ জীবনে।