নয়দিনের চেষ্টায় জালে জিনাত (zeenat)। বাঘ বন্দি খেলা শেষ হলেও বনের রাজাকে সুস্থভাবে বনে ফিরিয়ে দেওয়াই মূল লক্ষ্য বন দফতরের। ভয় নয়, ভালোবেসে তিন বছরের বাঘিনীকে শিমলিপালে ফেরৎ পাঠাতে চায় রাজ্য বন দফতর। রবিবাসরীয় দুপুরে ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু হওয়ার পরে জিনাতের স্বাস্থ্য নিয়ে এতটুকুও ঝুঁকি নিয়ে রাজী নয় বন দফতর। এবার বাঁকুড়ার (Bankura) গোসাইডিহিতে বন্দি হওয়া বাঘকে সরাসরি শিমলিপালে পাঠানো হবে, না আগে চিকিৎসা করা হবে, তা বিবেচনা করেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হল বন দফতরের তরফে।

ওড়িশার শিমলিপাল (Simlipal) থেকে মুক্তির পথে কখনও ঝাড়খণ্ড, কখনও বাংলার জঙ্গলমহলে ঘুরে বেড়িয়েছে বাঘ্রশাবক জিনাত। তার পিছন পিছন কখনও ওড়িশা বন দফতর, কখনও তিন রাজ্যের বন দফতর কাল ঘাম ছুটিয়েছে। তার আচরণ অনেক সময় তাক লাগিয়েছে বন দফতরের আধিকারিকদের। সহজ টোপ (bait) ছেড়ে শিকারে ভরসা করা জিনাতের উদ্যম নিয়ে তাই কিছুটা চিন্তায় ছিলেন আধিকারিকরা। টাড়োবা থেকে খাঁচায় শিমলিপাল আসার অভিজ্ঞতা যে খাঁচা নিয়ে ভয় ধরিয়েছিল তিন বছরের বাঘিনীর মনে, তা অনুমান করেন বন দফতরের আধিকারিকরা।

জাল দিয়ে স্থানীয় গ্রাম ঘিরে সুন্দরবনের কায়দায় তাকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টাও বিফল হয়। ফলে ঘুম পাড়ানি গুলি (tranquilizer) ছিল একমাত্র অবলম্বন। শনিবার পুরুলিয়ায় থাকাকালীন তাকে গুলি করে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করে বন দফতর। তবে জাল টপকে পালিয়ে যায় জিনাত (zeenat)। বাঁকুড়ায় আরও উঁচু জাল লাগানো হয় কোনও রকম আশঙ্কা এড়াতে। এরপর ফের চালানো হয় ঘুমপাড়ানি গুলি।

রবিবার বিকালে সেই গুলিতে (tranquilizer) খানিকটা টলে পড়তেই বন দফতর তার হাত পা বেঁধে সোজা খাঁচায় তোলার ব্যবস্থা করে। সেখানেও তুলে হাত পা খুলতেই খানিক চাঙ্গা জিনাত (zeenat)। খাঁচা যে তার না পসন্দ। খাঁচাবন্দি জিনাতকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে তার। এরপর সুস্থ বোধ করলে তবেই শিমলিপালে তার নিজের ডেরায় তাকে ছাড়া হবে বলে দাবি বাংলার বন দফতরের আধিকারিকদের।


–

–

–

–

–

–

–

–