Wednesday, December 3, 2025

আজ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলার শুনানি, ঢাকায় এক ঝাঁক আইনজীবী !

Date:

Share post:

বাংলাদেশে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আর্জির শুনানি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে এক ঝাঁক আইনজীবী শহরে এসে পৌঁছেছেন। পারিশ্রমিক ছাড়াই তারা চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ তথা সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে সওয়াল করবেন। চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই শুনানি হওয়ার কথা।

কিন্তু সংশয় দেখা দিয়েছে, শুনানি আদৌ করা যাবে কি না। কারণ, আরও বেশ কিছু আইনজীবীর মতো সন্ন্যাসীর প্রধান আইনজীবী শুভাশিস শর্মা গ্রেফতারি এড়াতে আত্মগোপনে গিয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অনুগত আইনজীবীরা হামলা ও প্রাণহানির হুমকি দিচ্ছেন বলে দাবি। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় আইনজীবীরা আদৌ আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন কিনা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। বিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করতে দেবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
জানা গিয়েছে, অপূর্ব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন আইনজীবী বুধবারেই চট্টগ্রামে পৌঁছে ওকালতনামা সংগ্রহ করেছেন। এর আগে ঢাকা থেকে গিয়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের শুনানি এগোনোর আর্জি জানিয়েছিলেন দায়রা আদালতে। কিন্তু তাঁর কাছে ওকালতনামা না থাকায় বিচারক সেই সওয়াল গ্রহণ করেননি। এর পরে বর্ষীয়ান এই আইনজীবী ওকালতনামা সংগ্রহ করলেও আইনজীবী সমিতি তাকে সওয়াল করতে দেয়নি।

চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতারের পরে গত মাসের ৩ তারিখে চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেই দিন বিচারক তাকে জেলে পাঠালে চিন্ময়ের এক দল অনুগামী ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে ভাঙচুর করেন। পুলিশ লাঠিচার্জ করায় বড় গণ্ডগোল বেধে যায়। বিএনপির অনুগত এক আইনজীবী আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। বৃহস্পতিবার তার জবাবে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির হওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপরে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সনাতনী জাগরণ জোট। বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে তারা আইনজীবী ছাড়া সনাতন সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষকে শুনানি দেখতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা, যাঁকে বহিষ্কার করেছে দল। সেই মামলায় সনাতনী সমাজের এই নেতাকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইনজীবীদের দাবি এই মামলাটি একেবারেই অসার, কারণ বাংলাদেশের আইনে একমাত্র সরকারই কারও বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে পারে, অন্য কেউ নয়। কিন্তু চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চিন্ময়কৃষ্ণকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়। খুনের হুমকি পেয়ে আদালতে হাজির হতে পারেননি চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীরা। তার পরেই ২ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়।

spot_img

Related articles

জেলা সফরে বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী: বুধের সভার জন্য প্রস্তুত মালদহের গাজোল

মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষেই জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদে বহরমপুরে। বুধবার সকালে  তিনি হেলিকপ্টারে করে উড়ে...

নিভৃতে… খাদ্যহীন! যার জন্য দেশে সূ্ত্রপাত ‘নারী আন্দোলনে’র, সেই ‘মথুরা’ই দুরবস্থায় মহারাষ্ট্রে

সেই সালটা ১৯৭২। এখন ২০২৫। মাঝে পেরিয়েছে ৫৩ বছর। এর মধ্যে তাঁকে ভুলেই গিয়েছে গোটা দেশ। হঠাৎ মনে...

বুধেই ভাগ্য নির্ধারণ! বাংলাদেশে বসে ফেরার অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা সোনালি

বাংলাদেশে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ফলে জেলমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু নিজের দেশে, নিজের ঘরে ফেরা কবে? আজও জানেন না বীরভূমের...

প্রশাসনিক গতি ফেরাতে যাদবপুরে দুই মাসের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সেলিম বক্স মন্ডল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্ট্রার শূন্য থাকার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছিল। কর্মসমিতির বৈঠক হলেও রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকায়...