৬০দিনের মাথায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনে রায় ঘোষণা করতে চলেছে আদালত। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মৃতা তরুণীর মা জানালেন, তাঁর সিবিআই চাননি। কলকাতা পুলিশ পাঁচ দিনে যা করেছিল, CBI পাঁচ মাসে সেটাই করেছে। সঞ্জয় রাই যে দোষী মনে করেন মৃতার বাবা-মা। তবে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে অসন্তুষ্ট। ফলে উচ্চতর আদালতে আবেদন জানাতে চলেছেন অভয়ার বাবা-মা।

আদালত রায় ঘোষণার দিন জানানোর পরেই বৃহস্পতিবার কলকাতার পথে নামেন বহু মানুষ। ছিল জুনিয়র ডাক্তার ফোরাম। সেই আবহেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন নির্যাতিতার বাবা বলেন, “বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হল বলুন, শেষ হয়নি। এখান থেকেই শুরু। ১৮ তারিখ দুপুরে প্রথমন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রায় দেবে আদালত। এর পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট আসবে। বিভিন্ন অপরাধীদের সামনে আনা হবে বলে আদালতে জানিয়েছে। তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছি। অনেক প্রশ্ন আছে আমাদের। সেগুলির উত্তর জানতে চাই।”

নির্যাতিতার মা বলেন, “পুলিশ পাঁচ দিনে যা করেছিল, আমার মনে হয় CBI পাঁচ মাসে সেটা করেছে। একা সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার কথা বলেছে তারা। আমরা সন্তুষ্ট নই বলেই তদন্ত চালিয়ে যেতে মামলা করেছি। আমরা মনে করি, সঞ্জয় দোষী। কিন্তু একা ওর পক্ষে আমার মেয়েকে মেরে ফেলা সম্ভব নয়। একটা জনবহুল হাসপাতাল। সেখানে বাইরের থেকে একজন এল, আর কেউ জানতে পারল না, এটা হতে পারে না।” তবে, প্রকৃত তথ্য সামনে আসবে। সবাই সাজা পাবে বলে আশাবাদী তিনি।

এদিন আদালতে সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজার পক্ষে সওয়াল করে সিবিআই। সূত্রের খবর, এদিন মৃতার মা জানান, তাঁরা সিবিআই চাননি। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, হলফনামায় তো তাঁদের স্বাক্ষর ছিল। তাহলে কাদের চাপে পড়ে সেই আবেদনে সই করেন তাঁরা! এর পিছনে কেউ অন্য কোনও প্রভাব কাজ করছে! এই প্রশ্নও উঠছে।

আরও পড়ুন- কুম্ভমেলাকে কোটি কোটি টাকা দিলেও গঙ্গাসাগরকে কিছু দেয়না, মোদিকে আক্রমণ মমতার

_

_

_
_

_

_
_