আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (US Presidential oath) হিসাবে অফিসিয়াল দায়িত্ব গ্রহণের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। কিন্তু তার আগেই সে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জোর ধাক্কা খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। পর্নতারকা ঘুষ কাণ্ডে কিছুতেই নিজের সাজা আটকাতে পারলেন না নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে (Stormy Daniels) ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে দিল।

২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের (US President Election) সময় পর্নতারকা স্টর্মিকে (Stormy Daniels) ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কোনভাবেই যাতে তাঁদের শারীরিক সম্পর্কের কথা বাইরে না আসে, সেই জন্যই এই অর্থ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল ওই মহিলাকে। এমনকি ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তাঁর ব্যবসায়িক সংস্থার নথিপত্রে জালিয়াতি করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপর ‘রাজনৈতিক চক্রান্তের’ অভিযোগ তুলে গোটা বিষয়টিকে অস্বীকার করে ট্রাম্প শিবির। কিন্তু মামলা এজলাসে উঠলে ম্যানহাটনের আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। যদিও সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছিল। পরে নির্বাচনে জয়ের পর মামলা প্রত্যাহারের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন হবু প্রেসিডেন্ট। যুক্তি হিসেবে, তাঁর আইনজীবীরা আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের ‘অফিশিয়াল’ কাজকর্মের আইনি রক্ষাকবচের কথা বললেও এক্ষেত্রে তা স্পষ্ট নয় বলে শুক্রবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ট্রাম্পের আইনজীবীরা ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাজা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেও তা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। যদিও ট্রাম্পের জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই, তবে বড়সড়ো আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–

–

–
