দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি স্কুলে কাঁচ ভেঙে পড়ুয়াদের আহত হওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন প্রিন্সিপাল (Principal) অরিজিৎ মিত্র। রক্ষণাবেক্ষণে যে গাফিলতি ছিল, এককথায় তা মেনে নিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এরকম হবে না, আশ্বাস দিয়ে অভিভাবকদের অনুরোধ করলেন পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে। তবে এই ঘটনায় নজরদারির গাফিলতিতে অ্যাম্বুল্যান্স (ambulance) পরিষেবা নিয়েও যে প্রশ্ন উঠেছে তা থেকে মুখ লোকাতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক পরিস্থিতি সামলাতে শো-কজ (show-cause) করা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স চালককে।

বেসরকারি স্কুলে একটা বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে পড়ুয়াদের পাঠান অভিভাবকরা। তার জন্য পড়ুয়াদের স্কুলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকার কথা। সেই সঙ্গে স্কুলের প্রতি অংশে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ (maintenance) করার কথা, যে কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে। তা সত্ত্বেও স্কুলের জানলা খুলতেই খুলে পড়ল কাঁচ। আর সেই কাঁচ মাথায় ও গায়ে পড়ে গুরুতর আহত হল স্কুলেরই পড়ুয়ারা। সেই আহত পড়ুয়াদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স (ambulance) পাওয়া গেল না। ট্যাক্সি করে নিয়ে যেতে হল পড়ুয়াদের।

এরপরই স্বাভাবিকভাবে আহত পড়ুয়াদের অভিভাবক ও অন্যান্য অভিভাবকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্কুলে টালিগঞ্জ থানার (Tollygaunge police station) পুলিশ গেলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। এরপরই অভিভাবকদের বৈঠকে ডাকেন প্রিন্সিপাল (Principal) অরিজিৎ মিত্র। সেখানে আশ্বাস দেওয়া হয় জানালার নিচে দিয়ে নেট (netting) লাগিয়ে দেওয়া হবে এমন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে। সেই সঙ্গে স্কুলের যে সব অংশে নির্মাণকাজ চলছে সেখান দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সেই সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স চালককে (ambulance driver) ফোনে পাওয়া যায়নি বলে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রিন্সিপাল। সেক্ষেত্রে অ্যাম্বুল্যান্সর চালককে শো-কজ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে স্কুলের শেড দমকল বিভাগের নির্দেশে খুলে নেওয়া হলেও কেন সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি প্রিন্সিপাল। অন্য়দিকে পড়ুয়া জানালা খুলে দেওয়ায় কাঁচ কীভাবে ভেঙে পড়ল, প্রশ্নের উত্তরে রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতি মেনে নেন অরিজিৎ মিত্র। সেই সূত্রে ক্ষমাও চেয়ে নেন। তবে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের অনুপস্থিতির দায় শুধু চালকের উপরই দিয়ে দায় সারেন তিনি। অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুলের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনায় নির্দিষ্ট দিন দেখে বৈঠকের আশ্বাস দেওয়া হয়। মঙ্গলবার থেকে যদিও অনেক অভিভাবকই পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে সম্মত নন। তাঁদের দাবি, যদি নেট লাগানোর কাজ পুরোপুরি হয়ে যায়, তবেই তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন।


–


–

–

–

–

–

–
